এটিএম মাজহারুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিনিধ
কুমিল্লা শাসনগাছা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্ণব নিহতের ঘটনার মামলায় সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত ২টি বিদেশী পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি, ৪টি ম্যাগজিন। রোববার দুপুরে কুমিল্লার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, গোলাগুলিতে অর্ণব নিহত হবার ঘটনায় তার মা ঝরনা বেগম ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামী করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই কুমিল্লার ভারত সীমান্তবর্তী পাঁচথুবী এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘর্ষের সময়ে মূল অস্ত্রধারী ফজলে রাব্বি, মোঃ সুমন, রাশেদ, কাউছার, খলিলুর রহমান, রিয়াজ ও সোলেমানকে গ্রেপ্তার করে। সংঘর্ষের ঘটনায় তিন শুটারের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও পালিয়ে বেড়াচ্ছে অপর শুটার। তাকে ধরতেও অভিযান চলছে।
পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের আরো জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কুমিল্লার শাসনগাছা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পাশে লেগুনা স্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানো নিয়ে শুরু হয় তর্কাতর্কি। এঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মধ্যমপাড়ার মোল্লা ও দফাদার পরিবার জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্ণব। আহত হন আরো অন্তত ৪ জন।তারা ঢাকা ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত অর্নব শাসনগাছা মধ্যমপাড়া এলাকার আজহার আলীর পুত্র। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রী শাখায় পড়াশুনার পাশাপাশি শাসনগাছা বাসটার্মিনালে সততা বাস কাউন্টারে ম্যানেজারের চাকরি করতেন। সংঘর্ষের সময় টার্মিনালে রাখা অন্তত ৫টি লেগুনা মাইক্রোবাস এবং দুইটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়।
নিহতের স্বজন এবং আহতদের অভিযোগ, স্থানীয় খলিলুর রহমানের ছেলে রাব্বির নেতৃত্বে গুলিতে অর্ণব নিহত হয়েছেন এবং অন্যান্যরা আহত হয়েছেন।