নিজস্ব প্রতিনিধ
ঢাকা-ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের যানবাহন থেকে কাগজপত্র চেক করার নামে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে শিবচর হাইওয়ে পুলিশের এসআই তমাল সহ সঙ্গীয় ফোর্সের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ও গতকাল সড়কে চাঁদাবাজির সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে ভাঙ্গা মাই টিভির সাংবাদিক মোঃ সরোয়ারের হোসেনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এসআই তমাল সহ সঙ্গীয় ফোর্স। বিষয়টি ভাঙ্গার স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ভাবে ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যমুনা টিভি এবং যুগান্তরের সাংবাদিক আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিডিও ধারন করে । তখন পুলিশ টিমের দায়িত্বে থাকা এসআই তমাল উত্তেজিত হয়ে ভিডিও ধারন করতে নিষেধ করেন এবং সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
সড়কে চাদাঁবাজির বিষয় চালকদের অভিযোগ সুত্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখে যায়, ভাঙ্গা উপজেলা থেকে সুর্যনগর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এক্সপ্রেস সড়কে দায়িত্ব পালন করেন শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ। প্রতিদিন বামনকান্দা, মালিগ্রাম, কলাতলা ও পুলিয়া এলাকার ৪টি পয়েন্টে কাগজপত্র চেক করার নামে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে থাকেন পুলিশ । পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে চালকগণ। যে সমস্ত চালক অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চলাচল করলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা বা জরিমানা দিয়ে থাকেন। তবে হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কে কাগজ দেখার নামে সিগনাল দেয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত জনগণের প্রশ্ন ।
গত সপ্তাহে পুলিয়া এলাকায় এক্সপ্রেস সড়কে গোল্ডেন লাইন পরিবহনকে সিগন্যাল দেয় পুলিশ। গোল্ডেন লাইন পরিবহন ব্রেক করার সাথে সাথে পিছন থেকে সার্বিক পরিবহন গোল্ডেন লাইনকে ধাক্কা দেয়। দুটি পরিবহনেরই সামনে এবং পিছনে দুমড়ে যায় এতে ১০/১৫ জন যাত্রী আহত হয় ।
পুলিশ যখন যানবাহনের কাগজ পত্র দেখার নাম চাঁদাবাজি করেন। তখন সাধারণ মানুষকে সড়কের পাশে দাড়াতে দেন না।
এব্যাপারে মাই টিভির ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, ভাঙ্গার মধ্যে ১০ কিলোমিটার সড়কে দায়িত্ব পালন করেন শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ । প্রতিদিন তারা যানবাহনের কাগজপত্র দেখার নামে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন। চাঁদা না দিলে পুলিশ চালকদের হয়রানি করেন। এব্যাপারে কয়েকজন চালক শিবচর হাইওয়ে থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কিন্ত কাজ হয় নাই। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমি সেখানে আমি উপস্থিত হয়ে ভিডিও ধারণ করি । তখন পুলিশ আমাকে ভিডিও ধারন করতে নিশেধ করেন এবং আমার সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে ভিডিও গুলো ডিলেট করে দেয় ।
তখন হাইওয়ে থানার এস, আই তমাল সহ-তার সঙ্গীয় ফোর্স একজোট হয়ে বলেন, কার অনুমতি নিয়ে আপনারা ভিডিও করছেন । এখানে দাঁড়াতে পারবেন না, চলে যান।
এ ব্যাপারে শিবচর থানার এস,আই তমাল বলেন, আমি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করি নাই। তারা সাংবাদিক কিনা প্রথমে আমি বুঝতে পারি নাই। তাদেরকে আমি বলেছি কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভিডিও করা যাবে না, নিষেধ আছে। অনুমতি নিয়ে তারপর ভিডিও করবেন। চাঁদাবাজির বিষয় তিনি বলেন, যে সকল চালক ৮০ কিলোমিটার উপর স্পিডে গাড়ি চালায় তাদেরকে আমরা মামলা বা জরিমানা করি।
এবিষয় শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ শাকিল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচারনের বিষয় আমার জানা নাই। আমার কোন পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজি করলে ব্যবস্থা নিব।