অপহরণ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি গ্রেফতারের পরেই মুক্তি। আতিকুর রহমান কেরানীগঞ্জ: দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অপহরণ মামলার এজারভুক্ত আসামি দুপুরে গ্রেফতার করলেও বিকেলেই থানা থেকে মুক্তি পেয়ে যান। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কাজীরগাঁও এলাকার ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় মামলার এজারভুক্ত আসামি মোঃ রাসেল (২৪) কে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম।
গ্রেফতারের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনকে জানালে পরে ঘটনাস্থলে দেলোয়ার হোসেন এসে অপহরণ মামলার আসামি রাসেল (২৪ ) কে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ।পরে অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা না করে পুলিশ থানা হাজতে দুই ঘন্টা আটক রেখে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় ছেড়ে দেয় আসামি রাসেলকে । গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি, ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার, কোন্ডা ইউনিনের কাজিরগাও গ্রামের মোঃ জাকির মিয়ার ছেলে মোঃ রাসেল (২৪)।
মামলা সূত্রে জানা যায় ,দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীণ দক্ষিণ পানগাঁও ফয়সাল প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী (১৫) ব্যাচে কোচিং করার জন্য বাসা হইতে বাহির হইলে কাজিরগাঁও বাজার সামনে থেকে পাভেল (২২) রাসেল (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা দুই তিন জন অপহরণ করে নিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর মা খুকি বেগম বাদি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা এলাকায় ঘোরাঘুরি করলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দেলোয়ার হোসেন আসামিদের গ্রেপ্তারের কোন চেষ্টা করেনি।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বাদী খুকি বেগমের ভাই আসামিদের খোঁজ পেলে জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন কে ফোন করলে তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেননি, পরে বাদীর ভাই সোহেল আহমেদ জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি জানালে তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসারের নাম্বারটি দেন কথা বলার জন্য, পরে ডিউটি অফিসার কে ফোন দিলে তিনি সহকারি উপ-পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম এর ফোন নাম্বারটি দেন এবং তার সাথে কথা বলতে বলেন। পরে মহিদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি তাৎক্ষণিক চলে আসেন এবং কোন্ডা ইউনিনের কাজেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণ মামলার এজারভুক্ত ২ নাম্বার আসামি রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভাই আপনি দীর্ঘদিন যাবত সাংবাদিকতা করেন সবকিছুই জানেন এমন প্রশ্ন করলে কি হবে, ছেড়ে দেওয়ার মালিক তো আমি না আমি তো শুধু গ্রেফতার করতে পারি। ভাই পুলিশ কোন আসামি ছাড়তে পারে না আবার সব আসামী যাচাই-বাছাই করে ছাড়তে পারে।এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ বলেন, মূলত বিষয়টি প্রেম গঠিত এক্ষেত্রে মেয়ের ফ্যামিলি অনেকেরই আসামি করতে পারে, কিন্তু মূলত আসামি হয় একজনই। তাই তাকে মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।ঢাকা জেলা কেরাণীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, গ্রেফতারের বিষয়টি আমি শুনেছি, দেলোয়ার হোসেনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেখান থেকেই পারুক ছেলে মেয়েকে উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে।