নিজস্ব প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলে টেন্ডার ছাড়াই দেদারছে বালু বিক্রি রমরমা মহাৎসব চলছে। বালু উত্তোলনের ড্রেজারী মেশিন বসিয়ে মাত্র ৪ বিঘার ছোট্ট একটি পুকুর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ ট্রাক বালু বিক্রি হয়েছে। পুকুরে ৩ ফুট করে মাটি কাটার কথা বলে প্রথম শুকানো হয়। তারপর হঠাৎ ড্রেজারী মেসিন বসিয়ে রাত ১০ টার পর মিলে ট্রাক ঢুকিয়ে সারা রাত ধরে বালু পাচার করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সম্পত্তি হরিলুট চলছে অন্যদিকে পুকুরের পাশের বড় মসজিদ, পানির প্লান্ট ও অন্যান্য বিল্ডিং মাটির নিচে ধ্বসে যাবে বলে শঙ্কায় আছেন স্থানীয়রা।
শুধু বালু নয়, ট্রাক ট্রাক লোহা-লক্কড়, টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য সহ বহু অবৈধ কাজ এখানে দেদারছে চলে। মাত্র ৮-৯ টাকার বিদ্যুৎ বিল আলাদা বিল বানিয়ে শত শত ভাড়াটিয়াদের থেকে আদায় করা হয় ২৩/২৫ টাকা ইউনিট। এ নিয়েও অনেকে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু কেউ কিছু বলতে গেলে ইনচার্জ বাশার তাকে হাইকোর্ট দেখিয়ে দেন। হতভম্ব হয়ে যায় মিলের মধ্যে সাধারণ খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ।
আর এসব কাজের হোতা মিলের হিসাব রক্ষক ও বর্তমান ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা শফিউল বাশার।
বাশার এই বিশাল সরকারি সম্পত্তি একাই মায়ের ভোগে দিচ্ছেন বলে অনেক অভিযোগ আছে। মিলের ভিতর বসবাসকারী কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলেই তাকে বাসা ছাড়ার হুমকি দেয় বাশার। টেক্সটাইল মিলের এই সরকারি সম্পত্তি প্রায় ৭ বছর ধরে সে লুট করে আসছে। আর এদিকে কেউ নজর দিলেই তাকে Rab এর ভয় দেখায়, না হলে বাসা ছাড়তে চাপ দেয়। এজন্য আত্মসম্মানের ভয়ে তার হরিলুট কেউ দেখেও দেখে না।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, মিল সম্পত্তি হরিলুটে ইনচার্জ বাশারের ভরসাস্থল বিটিএমসি’র ডিজিএম কামরুল। এখানকার ফলফলাদি, পুকুরের মাছ ও টাকা পয়সার কিছু ভাগ পাঠিয়ে তাকে ম্যানেজ করে বাশার দেদারছে সব করে। স্থানীয়ভাবেও একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ফেলেছে বাশার। যেখানে বর্তমান বালুর চালান গুলোও যাচ্ছে। মিল সংক্রান্ত আরও অবৈধ ব্যবসা আছে ঐ সিন্ডিকেটের সাথে। এসব করে বাশার সাহেব বরগুনা ও খুলনায় কয়েক দফায় জমি কিনেছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইনচার্জ বাশার কিছু বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, যা কিছু হচ্ছে বিটিএমসি’র সাথে সমন্বয় করে হচ্ছে। এখানে বিটিএমসি’র বাইরে কারো নাগ গলানোর সুযোগ নেই। আমি নিয়ম করেই করি।
সুতরাং টেক্সটাইল মিলের সরকারি সম্পত্তি ইনচার্জ বাশারের হাত থেকে রক্ষা করতে বস্ত্র মন্ত্রণালয় ও দুদক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে সাতক্ষীরার সচেতন মহল।