মোঃ রেজাউল করিম নাটোর জেলাপ্রতিনিধি
নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ আজমল হোসেন (৪০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার দিবাগত রাত একটার দিকে বগুড়া জেলার শাহজাহান পুর থানা এলাকা তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আজমল হোসেন নাটোর জেলার সিংড়া থানার শুকাশ ইউনিয়নের বাইগুনী গ্রামের মওলা শেখ এর ছেলে।
উল্লেখ্য যে,এজহার সূত্রে জানা যায়, আসামী আজমলের সহিত নুপুর (৩০)মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্রে গত ৩/০৪/২৪ ইং রোজ বুধবার দিবাগত রাতে মৃতা নুপুর ও আসামী আজমল সিংড়া থানাধীন সুকাশ ইউনিয়নের বাইগুনী গ্রামে ঘর বাড়ি দেখতে আসে।সেখানে তাদের স্থায়ীভাবে বিয়ে হয়। সকাল ৮.৩০ মিনিটের দিকে ওই গ্রামের হান্নান নামের এক ব্যক্তি জানায় যে নুপুর মারা গেছে। পরে নুপুরের বাবা তাহার স্ত্রী ও সাবেক স্ত্রী কে নিয়ে বাইগুনী গ্রামে এসে দেখে তার মেয়ে নুপুরের মৃত্যুদেহটি আসামি আজমল হোসেনের উত্তর দুয়ারী মাটির দৌচালা ঘরের মধ্যে চৌকির উপরে উত্তর শিয়রী অবস্থায় আছে। তাহার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। আসামি আজমল মৃতা নুপুরের পিতা, মাতা, ও আত্তিয় স্বজনদের মিথ্যা ভাবে বলে যে গত ৬/৪/২৪ ইং শনিবার দিবাগত দিবাগত রাত আনুমানিক নয়টার দিকে আপনার মেয়ের উপরে ভুতের আসর হয়। পরে সে নিজে নিজেই ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ধাক্কাধাক্কি করে নিজেই আহত করেছে। পরে ৭/০৪/২৪ ইংরেজি তারিখ রবিবার ভোর ৪.১৫ মিনিটের দিকে সে মারা যায়। এই কথা বলেই সে কৌশলে আত্নগোপনে চলে যায়। পরে নুপুরের বাবা বাদি হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পরে ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামীকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্প বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করলে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ ছায়াতদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি আজমল হোসেনের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক রবিবার দিবাগত রাত ১২.৫০ মিনিটের দিকে বগুড়া জেলার শাহজাহান পুর থানাধীন এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী আজমল হোসেন কে সিংড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-৫-সিপিসি-২ কে তথ্য দিন – মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।