স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আনোয়ার হোসেন
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকা থেকে অপহৃত ৮ মাসের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানকে উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে বাসন থানা পুলিশ।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ- পুলিশ কমিশনার(ডিসি) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় গাজীপুর সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদ, বাসন থানার এসআই নাজমুল হক ও শিশুটির বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত আইরিন ও সাইদ দম্পতি এবং শিশুটির বাবা-মা গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ফরিদ মিয়ার বাড়ির পাশাপাশি রুমে ভাড়া থাকতেন। গত ৩ এপ্রিল সকালে শিশুটির বাবা বাসা থেকে কর্মস্থলে চলে যান। দুপুরে মা তাকে গোসল করিয়ে ঘরের খাটে শুইয়ে রেখে বাথরুমে নিজে গোসলে যান। গোসল সেরে ঘরে ঢুকে তিনি ছেলে নোমানকে না পেয়ে আশপাশে খুঁজতে থাকেন। এ মসয় পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া আইরিনকে পাওয়া যাচ্ছিল না এবং তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। শিশুটির মা বিষয়টি থানায় জানান এবং পরদিন দুজনকে আসামী করে গত বুধবার( ০৪ এপ্রিল) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় বাসন থানায় ০৮ নং মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) মোঃ আবু সাইদ ওরফে সুমনকে কুড়িগ্রাম থেকে এবং ২ মে ভোরে তার স্ত্রী আইরিনকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার চায়না মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার ও তার হেফাজত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর নোমানকে তার বাবা-মায়ের কোলে তুলে দেয় পুলিশ। হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে বাবা-মা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নোমানের বাবা- মা গ্রেফতারকৃতদের উপযুক্ত শান্তি দাবি করেছেন। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও দ্রুত গ্রেফতারের অনুরোধ জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার লুৎফর রহমানের ছেলে মোঃ আবু সাইদ ওরফে সুমন (৪০) এবং তার স্ত্রী কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার অনন্তপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে মোসাঃ আইরিন (৩৪)।
গ্রেফতারকৃত আইরিন পুলিশকে জানান, নোমানকে ময়মনসিংহে ভিক্ষাবৃত্তির কাজে ব্যবহার করছিলেন তিনি। ছোট শিশুকে ব্যবহার করে ভিক্ষা করলে মানুষের বেশি সহানুভূতি ও অর্থ পাওয়া যায়। তাই এই শিশুকে তারা ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করছিলেন।