স্টাফ রিপোর্টার মোঃ নোয়ার হোসেন
গাজীপুরে মেট্রো সদর ও শ্রীপুর থানা এলাকায় সরকারী খাস সম্পত্তি ও বন উজার করে মাটি বিক্রি করছে একদল চিহ্নিত ভূমি দস্যুরা। বনায়ন ধ্বংস করার খেলায় মেতে উঠেছে তারা।
স্থানীয় চিহ্নিত ভূমি দস্যু মোঃ আইনুদ্দিন, আলামীন, মোতালেব মেম্বার তার বাহিনী গঠন করে বন উজার করে বনায়ন ধ্বংস করছে। প্রশাসনের নাগের ডগায় বসে এ কাজগুলো করলেও অজানা কারনে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। তবে স্থানীয়দের দাবি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের এ কাজে সহায়তা করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বনখরিয়া এলাকায় বনখরিয়া থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের রাস্তার প্রায় হাফ কিলোমিটার দূরে রাস্তার পূর্ব ও পশ্চিম পাশে মাটি কেটে খাল খনন করেছে। ঐএলাকার বনখরিয়া স্কুল সংলগ্ন ভবানীপুর বিটের ফরেস্ট এলাকার আওতাধীন বন বিভাগের ও সরকারী খাস জায়গা রয়েছে। যেখানে একসময় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সবুজ বনায়ন ছিল। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এ গাছগুলো অন্যতম ভূমিকা পালন করত। সেখানে বেকু দিয়ে দিনরাত মাটি খনন করে একাধিক কোম্পানির কাছে বিক্রি করছে ভূমিদস্যুরা। এ কাজ চলমান থাকা স্বত্তেও প্রশাসনের চোখের সামনেই তারা নির্বিঘ্নে এ কাজগুলো করছে। উন্নয়নমূলক কাজের মাটির জন্য সরকার প্রতিটি কোম্পানীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য নির্ধারন করে দিয়েছে। অথচ এ চিহ্নিত ভূমি দস্যুরা তুলনামূলক কম মূল্যে সরকারী বন কেটে মাটি বিক্রি করায় কোম্পানীগুলোও সেই মাটি নির্দ্বিধায় ক্রয় করছে। এতে উৎসাহিত হয়ে দিন দিন ভূমিদস্যুদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শুধু তাই নয় স্থানীয় সাধারন মানুষগুলোকে এক প্রকার জিম্মি করে রেখেছে ওই ভূমিদস্যুরা। যারা একসময় ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো তাদের দাপটে সাধারণ মানুষদের এখন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে থাকতে হচ্ছে। স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু বাহিনীর কাজে মেট্টো সদর থানার হাতিয়ার খিলপাড়া এলাকার কোহিনুরের বেকু দিয়ে একত্রে বীর দর্পে সরকারী বন উজার করে মাটি বিক্রি করছে। বন উজার করে মাটি বিক্রি করার হিড়িক পড়লেও দেখেও না দেখার ভান করছে স্থানীয় বন বিভাগের কমকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিষয়টি স্থানীয় হলুদ সাংবাদিকসহ প্রশাসনকে উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে চলে মাটি বিক্রি। শুধু তাই নয়, এসকল ভূমিদস্যুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওই কর্মকর্তাদের। রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন কে রক্ষা করবে সরকারী বন- এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত মোঃ আইনুদ্দিনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে সংযোগটি বিছিন্ন করে দেন।
ভবানীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল এ বিষয়ে বলেন, আইনুদ্দিনের মাটি বিক্রি বন্ধ রয়েছে। সীমানা নির্ধারণের জন্য আবেদন করেছে। এতদিন মাটি বিক্রি করায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, “আপনি অফিসে আসেন আপনার সাথে কথা বলব”।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, কেহ অবৈধভাবে মাটি কেটে করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।