মোঃ জামাল আহমেদ নিজস্ব প্রতিনিধি
গাজীপুরে মহানগরের কাশিমপুরে ২ নং ওয়ার্ড ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তেতুইবাড়ি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে আটক করে কাশিপুর থানা পুলিশ
বুধবার ২৬ জুন রাত ১.১০ দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কাশিমপুর থানা দিন ২ নং ওয়ার্ডে তেতুইবাড়ি এলাকায় ঘড়ি ডিটারজেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন একটি বাগানে ডাকাতের প্রস্তুতির সংবাদ পায় কাশিমপুর থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিমপুর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে চতুর দিক দিয়ে ডাকাত চক্রটিকে ঘেরাও করলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ডাকাত দলটি। এসময় ৬ জন ডাকাত সদস্যকে আটক করে কাশিমপুর থানা পুলিশ।
এ সময় ডাকাত সদস্যদের কাছে দুটি স্টিলের চাপাতি একটি সুইচ গিয়ার চাকু একটি লোহা কাটারসহ ডাকাতির অনান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আটকৃত ডাকাত সদস্যরা হলো খুলনা জেলার রূপসা থানার রুবেল ফরাজী ওরফে রিফাত ফরাজী (৩০), ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ (৪২), পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার সোহেল রানা (৩৬), খুলনা জেলার লবণচড়া থানার কাউসার ইসলাম ওরফে আলী ওরফে বিরু আলী ওরফে আলী ভাই, খুলনা জেলার লবণচড়া থানার বাপ্পি শেখ (৩০), খুলনা জেলার হিরো হাওলাদার (৩০)।
আটকৃত ডাকাত সদস্য রুবেল ফরাজী ওরফে রিফাত ফরাজির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ১৯টি মামলা, শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা, সোহেল রানার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা, কাউসার ইসলাম ওরফে আলি ওরফে বীরু আলী ওরফে আলী ভাই এর বিরুদ্ধে ২টি মামলা এবং বাপ্পি শেখ ও হিরো হাওলাদারদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সারোয়ার জাহান।
এর আগে গত তিন মাসের ব্যবধানে কাশিমপুরে পাঁচ থেকে ছয়টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যার ফলে ডাকাতের ভয়ে একটি থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয় কাশিমপুরবাসীর মাঝে। এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করা হোক এবং থানা আটকৃত ডাকাতরা পূর্বে কাশিম পুরের ডাকাতির ঘটনা সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হোক।
আটককৃত ডাকাত সদস্যদের ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩৯৯/৪০২ ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।