মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বসতবাড়ী উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে ভাংচুর, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগসহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আফছার উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ ভাড়াটে লোকজনকে নিয়ে প্রতিবেশী মৃত সোলাইমান হকের তিনপুত্র ফুল মিয়া, নিল মিয়া ও নুরু মিয়ার বসতবাড়ীতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়িঘরে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ চালিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের আক্রমনে প্রতিবেশী কালাম মিয়া, প্রতিবন্ধী মশিউর রহমান ও মনোয়ারা বেগম গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এদের মধ্যে কালাম মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এবিষয়ে সাদুল্লাপুর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন কালাম মিয়ার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪১)।
এজাহার সুত্রে জানা যায় যে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষিপুরে ২৯ জুন দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায় প্রতিপক্ষ জহুরুল ইসলাম (৫২), সাদেকুল ইসলাম (৩৫), শহিদুল ইসলাম (২৮), খাজা মিয়া (৩১), ফারুক মিয়া (২২), নুরুন্নবী মিয়া (২৩), মোখলেছার রহমান, মাছুদা বেগম (৪৫), শিমুলি বেগম (২৮), রাশিদা বেগম (২৪) তাদের হামলায় কালাম মিয়া (৫০), প্রতিবন্ধী মশিয়ার রহমান (৪৫), প্রতিবন্ধী মনোয়ারা বেগম (৪৫) গুরুতর আহত হয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হাতে ধারালো ছোরা, লাঠি, লোহার রড, কোদাল, লোহার সাবল সহ ইত্যাদি এ
অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া অনধিকারে আমার বসত বাড়ীর বাহির উঠানে প্রবেশ করে বসত ভিটায় গাছ পালা রোপন করতে ধরলে কালাম মিয়া, প্রতিবন্ধী মশিয়ার রহমান ও প্রতিবন্ধী মনোয়ারা বেগমগন সহ বিবাদীদের নিষেধ করিলে বিবাদী জহুরুল ইসলাম (৫২) হুকুমে শহিদুল ইসলাম (২৮), খাজা মিয়া (৩১), নুরুন্নবী মিয়া (২৩), মোখলেছার রহমান, মাছুদা বেগম (৪৫), শিমুলি বেগম তাদের হাতে থাকা লাঠি ও লোহার রড দ্বারা কালাম মিয়া (৫০), প্রতিবন্ধী মশিয়ার রহমান (৪৫), প্রতিবন্ধী মনোয়ারা বেগম (৪৫) এর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মারডাং করিয়া ফুলা থেতলানো জখম করে। বিবাদী জহুরুল ইসলাম (৫২) তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে কালাম মিয়া (৫০) মাথার সামন ভাগের বাম পার্শ্বে স্বজোরে চোট মারিয়া
হাড়কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে (জখমী স্থানে ০৮টি সেলাই হয়)। বিবাদী সাদিকুল ইসলাম (৩৫) তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা মোনোয়ারা (৪৫) এর ডান হাতের কুনইয়ের নিচে স্বজোরে চোট মারিয়া হাড়কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে (জখমী স্থানে ০৪টি সেলাই হয়)। সাহিদা বেগম (৪১) জখমীদের রক্ষা করার জন্য ঘটনাস্থলে আগাইয়া গেলে শহিদুল ইসলাম (২৮) আসামী আমার পড়নের কাপড় ধরিয়া টানা হেছড়া করিয়া শ্লীলতাহানী করত: কিল ঘুশি লাখি মারে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে লিখিত এজাহার পেয়েছি তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।