হায়দার হাওলাদার নিজস্ব প্রতিবেদক
বরগুনার তালতলীতে আতাউল্লাহ নামের ৬ বছর বয়সী এক এতিম শিশুকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত ও ভয়ভীতির অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার শিশুটি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের গাবতলী (জিনবুনিয়া) এলাকায়।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে দুষ্টুমির অপরাধে আতাউল্লাহ নামের ৬ বছর বয়সী ওই এতিম শিশুকে বেধড়ক ভাবে মারধর করে মারকাজুল হুদা নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মহিউদ্দিন (২৫)। এসময়ে শিশুটি শিক্ষকের অত্যাচার হতে বাচার জন্য মাদ্রাসার পাশের এক বিএসসি শিক্ষকের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে এতিম শিশুটিকে তার নানা বাড়িতে নেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েন, জিনবুনিয়ার বাসিন্দা মোসাররেফ হোসেন গত জানুয়ারীতে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রথমে বহিরাগত শিক্ষক রাখলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেলে তার নিজ ছেলে মহিউদ্দিনকে অত্র মাদ্রাসার দায়িত্ব দেন এবং অন্য শিক্ষক মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়। মহিউদ্দিনের আচরণ সন্তুষ্টজনক না হওয়ায় ক্রমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা লাঘব হয়ে ৪ জনে নেমেছে। মহিউদ্দিন ছোট ছোট শিশুদেরকে অস্বাভাবিক নির্যাতন করায় ওই এলাকার সকলে ছেলে মেয়ে মাদ্রাসায় দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
আতাউল্লাহ’র পরিবারের লোকেরা জানায়, ছেলেটির বাবা না থাকায় নানা বাড়ী একই ইউনিয়নের সিলভারতলী এলাকায় থাকেন। তাকে অমানবিক নির্যাতনের বিচারের দাবী জানান তারা।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, এটা নিবন্ধন ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদের কোনো ম্যানেজিং কমিটি কিংবা পরিচালনা কমিটি নাই। এরা মাদ্রাসার সাইনবোর্ড টানিয়ে ব্যবসা করছে।
এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষক মহিউদ্দিন এসকল বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ফোড়া উড়েছে তাই চেহারা কালো হয়ে গেছে। আমি তাকে মারধর করিনি এবং আমরা এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করিনি পরবর্তীতে করব।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, আমি আপনার কাছে শুনেছি। খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব।