স্টাফ রিপোর্টার: হাসমত
বুধবার (০৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ফিরোজা খাতুন নামক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে কাশিমপুর থানা পুলিশ। পরিবারের দাবি, হত্যা নাকি আত্মহত্যা সুষ্ঠু তদন্ত মাধ্যমে উদঘাটন করা হোক।
মৃত কিশোরী ফিরোজা খাতুন সিরাজগঞ্জ জেলার, চোহালি থানার, কুদাইলা বাজার গ্রামের মো: সোহরাব আলীর মেয়ে।
নিহতের মা জানায়, গ্রাম থেকে কর্মসংস্থানের জন্য মৃত ফিরোজা খাতুন তার মা ও বোনের সাথে গাজীপুর জেলার ১ নং ওয়ার্ডের জিরানি এলাকায় বসবাস করতেন। পরে মায়ের সাথে কলোহের কারণে গত ২৮ জুন নিকটবর্তী এলাকা দুই নং ওয়ার্ডের ঢালাসিটি মুক্তিযোদ্ধারটেক এ রুম ভাড়া নিয়ে থাকতেন মৃত ফিরোজা খাতুন।
কিন্তু ২নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধারটেকে মৃত ফিরোজার বসবাসের বাড়ির মালিক ইসমাইল হোসেন (৪০) বলছেন ভিন্ন কথা।
তিনি জানান, মৃত ফিরোজা খাতুন স্বামী স্ত্রী পরিচয় গত পাঁচ দিন পূর্বে (২৮জুন ২০২৪)খালেক নামক একজন ব্যক্তিকে নিয়ে রুম ভাড়া নেয়। বাড়িওয়ালা ইসমাইল হোসেন এর মেয়ে জানায়, (০৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে স্বামীর পরিচয় থাকা খালেক মিয়ার সাথে মৃত খাদিজার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে, খাজিদা ঘরের ভীতর থেকে দরজা আটকে দেয়। বাহির থেকে খালেক মিয়া কয়েকবার দরজা খুলতে বলে। দরজা না খোলায় খালেক মিয়া বাহিরে চলে যায় এবং রাগ কমলে দরজা খুলবে ভেবে আমরাও আমাদের ঘরে চলে যাই। ঘন্টা খানেক পর দরজা খুলেছে কিনা তা দেখতে গিয়ে দেখি দরজা খোলা এবং গলায় ফাঁস দিয়ে খাদিজা ঝুলে আছে। পারে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই আমরা।
প্রাথমিকভাবে কাশিমপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।