মোঃ সাহাজুদ্দিন সরকার, (গাজীপুর) প্রতিনিধি।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিয়ের দাবীতে এক পুলিশ প্রেমিকের বাড়িতে তার প্রেমিকা ডির্ভোসি এক নারী অনসনে বসেছেন। এ ঘটনার পর বিধি ভেঙ্গে তাদের বিবাহের প্রস্তুতিতে এলাকায় চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রশিদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগে কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে ফাতেমা আক্তারের সঙ্গে সাভারের আশুলিয়া থানার কবীরপুর এলাকার সাইদুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে হুমাইরা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু স্বামীর অগচরে তার পুরোনো প্রেমিক শিল্প পুলিশের সদস্য শুভ সিকদারের সঙ্গে পরকিয়ার সর্ম্পক চলমান থাকে। স্বামী চাকরি সুবাদে অফিসে গেলে প্রায় নিয়মিত তার বাড়িতে ওই পুলিশ সদস্য যেতেন। বিষয়টি টের পেয়ে কৌশলে ওই পুলিশ ও স্ত্রী ফাতেমাকে হাতেনাতে ধরেন স্বামী সাইদুর। এরপর তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গত ২০/২২ দিন আগে তাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনের ডিভোর্স হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে প্রেমিক শুভ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর কোনো উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ডিভোর্সি নারী বিয়ের দাবিতে ওই পুলিশ সদস্যের রশিদপুর এলাকার বাড়িতে অনসন করেন। এক পর্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মাতাব্বররা ডিভোর্স বিধি ভেঙ্গে ওই পুলিশ সদস্য ও ডিভোর্সি নারীর মধ্যে বিবাহের প্রস্তুতি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিধি ভেঙ্গে তাদের বিবাহের প্রস্তুতিতে এলাকায় চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই ডিভোর্সি নারী ফাতেমা আক্তার বলেন, শুভ বিভিন্নভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে আগের স্বামী থেকে ডিভোর্স করিয়েছেন। এখন আমাকে যদি শুভ বিয়ে না করে তাহলে আমি এ বাড়িতে আত্মহত্যা করবো।
ওই ডিভোর্সি নারীর চাচা জাকির হোসেন জানান, ২০/২২ আগে আমার ভাতিজির সঙ্গে তার আগের স্বামীর ডিভোর্স হয়। এখন ভাতিজি যার বাড়িতে গেছে, সে শিল্প পুলিশে চাকরি করে। তবে বিষয়টি সমাধান হলে আপনাদের জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ওই পুলিশ সদস্য শুভ সিকদারর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার বাবা আবু বাসেদ জানান, আমি অন্যত্র আছি। শুনেছি কুরবানী ঈদের আগে ওই মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে। এখন সে আমাদের বাড়িতে উঠেছে। তিনি তার ছেলের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানান, মেম্বার-মাতাব্বররা যা করার করুক। আমি এর আগে পিছনে নেই।
স্থানীয় চাপাইর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যায় তাদের বিয়ের ব্যবস্থা চলছে। ডিভোর্সি বিধি ভেঙ্গে কিভাবে বিয়ের ব্যবস্থা করছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে অনেক সময় আইনের বাইরেও কিছু কাজ করতে হয়। তবে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান ওই ইউপি সদস্য।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।