মোঃ আকরাম হোসেন স্টাফ রিপোর্টার
সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল সংলগ্ন বগাবাড়ি তে ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী আরিফ গং এর লাঠির আঘাতে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আহত।রবিবার ০৭/০৭/২০২৪ দিবগত রাত্র ১২ টায় ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী আরিফ গং সেনাসদস্য নুরে আলম কে তার কর্মরত স্থান ত্যাগ করতে বলেন।স্থান ত্যাগ না করে প্রতিবাদ করলে মুহুর্তেই আরিফ গং ৮ থেকে ১০ জনের সন্ত্রাস বাহিনী একত্রিত হয়ে দা,লাঠি,লোহার রড,চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে এ সেনা সদস্যকে এলোপাথাড়ি মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।তার আত্নচিৎকারে বাজারের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হ্যাপি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তী করেন।তার শরীরের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে সি এম এস নবীনগর সেনা ক্যাম্পে প্রেরন করেন।উক্ত ঘটনার বিষয়ে আহত সেনাসদস্য নুরে আলম ০৮/০৭/২০২৪ সোমবার আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সেনাসদস্য নুরে আলম বলেন,আরিফ গং ইলেকট্রিক কাজের আড়ালে মাদকচক্রের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।উক্ত ঘটনার বিষয়ে বিবাদী আরিফ মিয়া বলেন সেও আমাকে মারছে আমিও মারছি তবে সে চিকিৎসা নিয়েছে আমার চিকিৎসা নেওয়া লাগেনি।আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন।অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষ আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।তাছাড়া খোঁজ নিয়ে জানাযায় বগাবাড়ি চাউল পর্ট্টি ও স মলি সংলগ্নে মহিলা মাদক বিক্রেতাদের উপদ্রব।প্রতিদিন সন্ধা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী নারী পুরুষ চা দোকান সহ বিভিন্ন দোকানে বসে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।তাছাড়া এ বাজার এলাকায় পতিতাদের রমরমা বানিজ্য।সিকিউরিটি গার্ড এর আড়ালে পতিতাদের সরদার কিছু কিছু সিকিউরিটি গার্ড।তারা খদ্দের কে চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন গন্তব্য স্থানে।আবার মোবাইলের মাধ্যমেও খদ্দের সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের আস্থানায়।গত কয়েক মাস পূর্বে একজন নাইটগার্ড নারী ও খদ্দের সহ ধরা পড়লে। বাড়ীর মালিক অসাধু নাইটগার্ড কে বেদমপ্রহর করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেন।অপরদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইকরে নিয়ে আসেন এই বাজারটি তে। বাজারের সকল মানুষ এধরনের কর্মকান্ড উপলব্ধি করলেও প্রকাশ করতে সাহস পায়না।ছিনতাইকারী মাদক সিন্ডিকেট ও দেহ ব্যাবসায়ীদের চক্র অনেক বড়।কেউ কিছু বললে তেড়ে আসে তাদের কে মারতে।বা মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে।উক্ত এলাকার বাসা বাড়ি মালিকেরাও মাদককারবারীদের কাছে তুচ্ছরূপ।কিছু বলতে পারেনা এই সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে।সংবাদকর্মীরাও নিরাপদ নয়,পুলিশ প্রশাসনে অনেক সময় দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়।এ সিন্ডিকেট থেকে প্রতিকার পাচ্ছেনা কেহ ই। এ রোডটির অধিকাংশ দখলে রেখেছেন অবৈধ দোকান পাঠ বসিয়ে।সাধারণ জনতাদের চলাচলে ব্যাপক বাঁধা সৃষ্টি ও এক্সিডেন্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।তবে চা দোকান ও বিভিন্ন দোকানপাট রাত্র দশটা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা থাকলেও।বহালতবিয়তে রাত দুইটা পর্যন্ত খোলা রাখছে।প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে মোবাইল ফোন সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ পত্রাদি।দখল করে রাখা দোকানগুলো উচ্ছেদ করে।জনগনর চলাচলের ব্যবস্থা সুগম করতে এলাকাবাসীর প্রানের দাবী।পাশাপাশি মাদককারবারী ও মাদকসেবীদের আস্থানা গুড়িয়ে দিতে প্রশাসনের আশুহস্থক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী সহ সুধীসমাজ।