অনুসন্ধানী প্রতিবেদন]
গাজীপুর কাশিমপুর থানাধীন কর্মরত এসআই মিজানের অপকর্মের শেষ কোথায়? এমন প্রশ্ন প্রতিবেদকের নয় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের । গতকাল শনিবার মোবাইল ডিউটিতে কর্মরত ছিলেন এসআই মিজান দিনের প্রথম প্রহরে উল্লেখিত থানাধীন অভিযান চালিয়ে লোহাকৈর মরার টেক এলাকায় বিপুল মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় একাধিক মামলার আসামি মাদক সাম্রাজ্ঞী হিসাবে এলাকায় পরিচিত আঁখি বেগম ও তার ভাই সম্রাট আলমগীর স্বামী ইকবাল কে। স্থানীয়দের তথ্য মতে সোর্সের গোপন বক্তব্যের সূত্র ধরে জানা যায়।
এ সময় তড়িঘড়ি করে বিপুল মাদকের ব্যাগ গোপন করে মাদক সম্রাজ্ঞী আখি ও তার স্বামী সম্রাট আলমগীরকে গোপন সমঝোতায় পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন এসাই মিজান। ইকবাল কে টহল গাড়িতে উঠিয়ে সোর্সদের সঙ্গে নিয়ে চলে আসেন উল্লেখিত থানাধীন হাতিমারা পশ্চিমপাড়া, এখানে এসে দু-পিস ইয়াবাসহ হৃদয় নামে এক মাদক সেবীকে গ্রেফতার করে গাড়িতে উঠানোর পূর্ব মুহূর্তে হৃদয়ের পরিবারের কাছে হৃদয় কে ছেড়ে দেওয়ার নামে এক লক্ষ টাকা দাবী করে পরবর্তীতে হৃদয়ের পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করায় হৃদয় কে গাড়িতে উঠিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর হৃদয়ের বাড়ির পাশে এসে বিজ্ঞ পুলিশ অফিসার হৃদয়ের পারিবারিক অবস্থা বুঝে হৃদয় কে থানা গারদে খাবার-দাবার সহ সাধারণ মামলা দেওয়ার নামে ২ হাজার টাকা দাবী করে এ অবস্থায় হৃদয়ের মা সোর্সের মাধ্যমে নগদ ১০০০ টাকা দেয়, টাকা নিয়ে থানাতে আসার পর হৃদয়ের পরিবার জানতে পারে হৃদয়ের বিরুদ্ধে ১০০ পিস ইয়াবার মামলা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সোর্সের সঙ্গে কাথার কাটাকাটি শুরু হলে প্রতিবেদকের প্রশ্নে জবাবে ঘটনার বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বিষদ প্রতিক্রিয়ায় গর গর করে সোর্স অকপটে তা স্বীকার করে। এখানেই শেষ নয় বিগত দিনে এনায়েতপুর এলাকায় কসাই কেবলা নামের এক মাদক সেবীর গৃহে প্রবেশ করে মাদক না পেয়ে ছেলে শাহিনের জমানো কিছু নগদ অর্থ এসআই মিজান তা পকেটস্থ করে এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ছেলে শাহিন মোবাইল ফোনে টাকা ফেরত চাওয়ায় তা মোবাইল রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়। বিষয়টি এসআই মিজান টের পেয়ে পরবর্তীতে টাকাটি ফেরত দেয়। এসআই মিজান সম্পর্কে আরো জানা যায় তিনি কাশিমপুর থানায় যোগদানের পর থেকে প্রতি কর্ম ঘণ্টায় এমন অপরাধের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন। এসআই মিজানের এমন অপকর্মের ঘটনা হাতেগনা দুই একটি মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও অধিকাংশ মিডিয়া ছিল নিরব ভূমিকায় দাপুটি দারোগা বলে কথা। এসআই মিজানের এমন অপকর্মে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে নির্দ্বিধায় কৈলাসটিলা পার হয়ে সাধু নগর যেতে পারলে ও লঘু পাপে গুরু দন্ডে দণ্ডিত হয়ে নিরপরাধিরা অপরাধীর অলংকার হিসেবে গলায় জুলে কিংবা ললাটে জুটে কালো তিলক। মাদক সাম্রাজ্ঞী ও সম্রাটদের বসতিতে মাদক সেবী সন্ত্রাসীদের আভাশ্রম হলেও তাদের ললাটে রয়েছে সন্ন্যাসী তিলক। উল্লেখিত এলাকাটি গোবিন্দ বাড়ি সাধু নগর নামের হলেও সাধু গোবিন্দের বসবাস নেই, প্রশাসনের রন্ধে রন্ধে এসআই মিজানের মত এমন লোকদের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে শুধু অসাধুদের পাপতীত্বের নীলাভূমি। আর এ সমস্ত ব্যক্তির দায় গোটা প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সাধারণ মানুষ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
পর্ব-১ চোখ রাখুন দৈনিক সংবাদ বাংলাদেশ