নিজস্ব প্রতিনিধি
আবু সাইদ বুক পেতে দাঁড়িয়েছিল। সে ভাবেনি পুলিশ তাকে সত্যিই গুলি করবে।
তাই প্রথম গুলিটা খেয়ে সে একটু হতভম্ব হয়ে কেঁপে উঠল।
তার বিশ্বাস হলোনা , ওই প্রান্তের পুলিশ তার মতই বাংলায় কথা বলে, তার মত দু বেলা ভাত খায়, একই মাটির গন্ধ গায়ে…
কেঁপে উঠেও আবার পা শক্ত করে দাঁড়াল। তা নাহলে
বন্ধুরা কী বলবে! একটা গুলির আঘাতে সে পড়ে গেছে! গায়ে শক্তি নাই।
আড্ডায় বন্ধুদের পরে গর্ব করে বলবে, দেখছিস তোরা কেমন বুক চিতিয়ে বাঘের মত দাঁড়াইছিলাম? হুহ!
আবু সাইদ আবার কেঁপে উঠলো কারন আরেকটি গুলি ছোঁড়া হয়েছে।
এই পর্যায়ে তার নিজেকে ধরে রাখতে কষ্ট হয়ে গেল। তবু সে প্রাণপনে চেষ্টা করতে লাগল।
তার রোগা-পাতলা,বাঙাল , অপুষ্ট শরীরে এত শক্তি কোন কালেই ছিলনা।
হঠাৎ মনে পড়ে গেল সে অজপাড়া গাঁয়ের দরিদ্র ঘরের ছেলে যার মাসের টিউশানির টাকা পাঠালে গরীব বাবা মায়ের খাবারের টাকা হয়।
সে ফাইভে বৃত্তি পেয়েছিল, এইটে পেয়েছিল। তার মূর্খ বাবা মা আশা বেঁধেছিলেন আবু সাইদ বড় ভার্সিটিতে টেকার পর তাদের সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।
বোনটা শেষবার আদর করে কী বলেছিল সেটাও বোধ করি মনে পড়ে গেল।
আবু সাইদের ঘরে ফেরার কথা ছিল রাত দশটায়।
দশটা কি বেজে গেছে?
মায়ের গায়ের গন্ধ টা বারুদের মত হয়ে গেল কী করে?
১৬/০৭/২০২৪