মোঃ জুয়েল খান খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।
বাগেরহাট বাস মালিক সমিতি, রুপসা বাস মালিক সমিতি, খুলনা বাস মালিক সমিতি, বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বেশিরভাগ লোকাল বাস গুলি অবৈধভাবে চলাচল করছে যা প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়েই এই সমস্ত কাগজ বিহীন গাড়ি চলাচল করে আসছে, অনুসন্ধানে দেখা যায় ঢাকা মেট্রো (জ) ঢাকা মেট্রো (ব) খুলনা মেট্রো (জ) খুলনা মেট্রো (ব) সিরিয়ালের গাড়িগুলি বেশিরভাগ অবৈধভাবে চলাচল করছে রোড পারমিট ও টেস্ট টোকেনে ইঞ্জিন নাম্বার এবং চেসিস নাম্বার ঠিক থাকলেও বেশিরভাগ গাড়ি গুলির ইঞ্জিন নং চেসিস নং এর সাথে কোন মিল না থাকলেও বুক ফুলিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন যানবাহন গুলি বিআরটি অফিসের আবুল বাশার সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান গাড়ির ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার ঠিক না থাকলে সে গাড়ির ডিজিটাল প্লেট দেওয়া হয় না কথা এবং কাজের সাথে কোন মিল নাই বিআরটিএর এই কর্মকর্তার বাস্তব চিত্র একরকম কথা বলছেন আর একরকম যেখানে একটি গাড়ির কাগজ দিতে হলে গাড়িটির ইঞ্জিন নং চেসিস নং মিলিয়ে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে গাড়ি র কাগজপত্র কমপ্লিট হওয়ার কথা থাকলেও তার বাস্তবের সাথে কোন মিল পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে যে সকল গাড়ির নাম্বার প্লেট ডিজিটাল করণ হয়েছে তাহার মধ্যে বেশিরভাগ গাড়িগুলির রেজিস্ট্রেশন যে ইঞ্জিন নাম্বার এবং চেসিস নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে তার সঠিক নয় তারপরেও কিভাবে চলছে এই সড়ক মহাসড়ক গুলিতে অবৈধ গাড়ি তা আমাদের জানা নেই মটর জানে বিভিন্ন আইন কার্যকর থাকলেও তা হয়তো ঠিক মতন পালন করছেন না বিভিন্ন কর্মচারী কর্মকর্তাগণ খুলনা বি আর টি এ এবং বাগেরহাট বিআরটিএ বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে যা আমাদেরকে স্পষ্ট করেছে রোডে চলা শত শত অবৈধ গাড়ি যার কাগজ একজনের হলেও গাড়ি আর একজনের এটাই যদি হয় তাহলে বিআরটিএর কর্মকর্তা কর্মচারীগণ যে দুর্নীতি পড়েননি তা আমাদের কাছে এখন স্পষ্ট এ ব্যাপারে এক মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হলে অজ্ঞাতনামা মালিক জানান যখন গাড়ির কাগজ করতে যায় তখন বিআরটিএর যান্ত্রিক ত্রুটির যে অফিসার থাকেন তাহাকে কিছু ঘুষ দিলেই ইঞ্জিন নং এবং চেসিস নং এর মিল রয়েছে বলে চালিয়ে দেন যে কারণে আমরা সচরাচর এভাবেই কাগজ করে থাকি এবং মালিক নিজেই আমাদের কাছে স্বীকার করেন যে তাদের কাগজে যে ইঞ্জিন নং চেসিস নং রয়েছে তা অন্য আরেক গাড়ির কিন্তু এভাবেই আমরা তো দীর্ঘ দিন যাবত চালিয়ে আসছি এতে কিছু টাকা খরচ হলেও আমাদের কোন অসুবিধা হয় না, তখন মালিককে আরেকটি প্রশ্ন করি রোডে হাইও পুলিশ মেট্রোপলিটন ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ আপনাদের গাড়ির কাগজপত্র চেক করেন তখন তারা কি করেন জানতে চাইলে মালিক আমাদেরকে জানান উনারা শুধুমাত্র গাড়ির কাগজের ডেট আছে কিনা সেটি দেখেন কিন্তু কখনই গাড়ির কাগজের সাথে ইঞ্জিন নং চেসিস নং মিলিয়ে দেখেন না যে কারণে আমাদের চলতে সুবিধা হয় তারপরও যদি কেউ খুঁচিয়ে দেয় তাহলে বেশিরভাগ রুট গুলিতে আমরা কিছু পয়সা ছিটিয়ে দিলেই এ ব্যাপারে কেউ আর কোনো কথা বলেন না সব শুনে আমাদের কাছে মনে হলো এ যেন এক অজানা ভূতের গল্প প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ এ সকল গাড়িতে বিভিন্ন স্থানে ছুটে যান দুর্ঘটনা কাউকে বলে আসে না এটা ঠিক কিন্তু এ সমস্ত গাড়ি যেখানে কাটাইতে চলে যাওয়ার কথা সেই সকল গাড়ি দিয়েই যাত্রী আনা নেওয়া করছেন এটা কি মানুষ হিসেবে তারা ঠিক করছেন নাকি মানুষকে মারার ফাঁদ পেতেছেন। এভাবেই দিনের পর দিন প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন এই অবৈধ ব্যবসা, এ ব্যাপারে সুশীল সমাজ বলছেন এ ধরনের যে সকল গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছেন তা অনেক আগেই রাস্তায় চলার অনুপযোগী হয়ে আছে কিন্তু কিছু অসাধু বাস মালিকরা এই গাড়িগুলিকে রাস্তায় কিভাবে চালান তা আমরা বুঝিনা।