নিজস্ব প্রতিনিধি
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাষ্ট্রীয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও গাজীপুর মেট্রো কাশিমপুর থানায় কর্মরত এসআই মিজান এর অসাধু নীতির কোন রুপ পরিবর্তন হয়নি। পূর্বের অসাধু নীতিতে বহাল তবিওতে রয়েছেন কাশিমপুর থানায় কর্মরত এস আই মিজান।
মিথ্যা মাদক মামলার নাটক সাজিয়ে কাশিমপুরের মেট্রো থানাধীন এনায়েতপুর এলাকার শাহীন নামের এক ব্যক্তির বাসায় ঢুকে ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণ অলংকার হাতিয়ে নিয়ে গেলে পরবর্তীতে এই ঘটনা এলাকায় জানা জানি হলে শাহিনের টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত দিতে বাধ্য হয় এস আই মিজান। টাকা ফেরত দেওয়ার সময় শাহিনের বাবা কসাই কেবলা কে মুখ না খুলতে ভীতি প্রদর্শন করে। যাহার শাহীন ও এস আই মিজানের মুঠোফোনে কথোপকথনের কল রেকর্ডে জানতে পারে গণমাধ্যম কর্মীরা। ৩ নং ওয়ার্ডের হাতিমারা এলাকায় হৃদয় নামের এক দন্ত ডাক্তারের পকেটে ২ পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে হৃদয়ে পরিবারের নিকট বিশ হাজার টাকা দাবি করলে হৃদয়ের পরিবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি কাশিমপুর থানার সামনে শফিকের মুদির দোকানে ভুক্তভোগী ও সোর্স এর কথা কাটাকাটির স্থূুল বিষয়টি ভুক্তভোগী ও সোর্স দুলালের কথা কাটাকাটি বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মী মোবাইলে ধারণ করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। ১ নং ওয়ার্ড পানিসাইল এলাকায় এক ব্যক্তির গৃহে প্রবেশ করে মাদকের অজুহাতে মাদক না পেয়ে সুন্দরী গৃহকর্তির শ্লীলতা হানীর চেষ্টা চালাতে গেলে এসআই মিজান কে এলাকাবাসী নারী-পুরুষ মিলে জুতাপেটা করে। পরবর্তীতে তৎকালীন আসিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সানোয়ার জাহান সহ থানার পুলিশ সদস্য দের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মিটি মতাব্বর দের নিয়ে বিষয়টি অসাধু উপায়ে ধামা চাপা দিয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। বিগত দিনে পানিশাইল এলাকায় তাস খেলা রত অবস্থায় জুয়ারী হিসেবে ধৃত করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অনৈতিকভাবে তাদের ছেড়ে দেয় এই এস আই মিজান । এই এসআই মিজানের অপকর্মের শেষ নেই। এসআই মিজান কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামকে নিজ এলাকার আপনজন হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে নবজাগ্রত হয়েছেন এরই মাঝে খইটকা কাইল্লা বাবুকে সঙ্গে নিয়ে। অভিযোগ কারীনি দের থানায় আসা পারিবারিক কলহের বিচ্ছেদ সম্পর্কে অভিযোগকারীনি দের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাবু এসআই মিজানের স্বাদ আল্লাদ পূরণ করে যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও বাবুর ল চেম্বারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ১৪৫ ধারার বিধান মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ পালন করতে গিয়ে বাদী-বিবাদী কে বাবুর ল চেম্বারে সালিশ বসিয়ে আদালতের আদেশ পালনের বিপরীতে বসানো হয় তামাশার বিচার ব্যবস্থা। এখানে চলে অনৈতিক টাকার লেনদেন। আদালতের ১৪৫ ধারা বিধি মোতাবেক বলা হয়েছে উভয় পক্ষের স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখার জন্য বলা হলেও এখানে বিচারিক কার্যক্রমের ভূমিকায় ম্যাজিস্ট্রেজি মৌখিক বিচারিক কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করেন এসআই মিজান। বাদি বিবাদী কেহই জানে না ১৪৫ ধারার পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব সম্পর্কে। সাধারণ মানুষ না বুঝে এসআই মিজানকে বিচারক মনে করে সেখানে মৌখিক রায় ডিগ্রী সাব্যস্ত করে অন্যায় ভাবে লাভবান হয়ে আসছে এসআই মিজান ও ফইটকা বাবু ( কাইল্লা বাবু)
এস আই মিজানের সহযোগী এই বাবু কখনো পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেয় কখনো এডভোকেট পরিচয় দেয় এই কাইল্লা বাবু।পড়াশোনা না জানা বাক পটু হাফেজ এই বাবু সুঠাম দেহের অধিকারী হওয়ায় তাকে স্যার বা জনাব বলে সম্মোধন করেন অনেকেই।এই সমস্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে এস আই মিজানকে রেলওয়ে পুলিশে বদলি করা হয়। অজ্ঞাত কারণে অদৃশ্য শক্তিতে বলিয়ান এসআই মিজান বহাল তবিয়তে কাশিমপুর থানায় থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। দাপটি এই এস আই মিজানের খুটির জোর কোথায় আজও গণমাধ্যম কর্মীদের অজানা রয়ে গেল। এ ব্যাপারে কাশিমপুর মেট্রো এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের বক্তব্যে উঠে আসে এসআই মিজানের এইসব অনৈতিক মুক্তির আরাধনা।
এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম এস আই মিজানের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো অবগত আছেন কিনা জানার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।