নিজস্ব প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাশিমপুরে কোনাপাড়া মৌজার এসএ. আর এস ১ নং খাস খতিয়ান এর পুকুর ভরাট ও জবরদখল করে বাড়ি ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ১০ (ডিসেম্বর ) সরজমিনে গিয়ে জানা যায় , গাজীপুরের কাশিমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল আওতাধীন ১ নং ওয়ার্ডের কোনাপাড়া মৌজার
মাধবপুর বাংলালিংক টাওয়ার সংলগ্ন মন্ডল বাড়ি এলাকায় পুকুর ভরাট করে অবৈধভাবে সরকারি খাস খতিয়ান ১ এর জায়গায় বাড়িঘর নির্মাণের মহোৎসব চলছে। যাহার তফসিল ও দাগ নং এস এ ৫২.৫৩ আর এস. ৫০. ৫১ নং দাগের ১.৪৬ একর কুকুরের জায়গা জোরপূর্বক ভরাট করে ফেছিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অসাধু একটি চক্র সরকারি খাস খতিয়ান ১ এর জমি অবৈধভাবে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করে আসছে।
কাশিমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে, পুকুরের আশেপাশে জায়গা ভরাট করে যারা বাড়িঘর নির্মাণ করেছে তাদেরকে নোটিশ প্রদান করা হলেও জবরদখলকারী চক্ররা বলছে এসব নোটিশ ভুয়া। সরকারি ভূমি অফিস থেকে নোটিশ প্রদান করলে সেই নোটিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব নোটিশ ভুয়া বলে আখ্যা দেন জবরদখলকারীরা। তারা জানান আমরা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেছি। এবং পরবর্তীতে এই জায়গায় আমরা বাড়িঘর নির্মাণ করেছি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই জায়গাটা ঘনবসতি হওয়ায় বিভিন্ন সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সরকারি জায়গার পুকুরটি থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে দ্রুত যেন এই পুকুর থেকে পানি নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে যার জন্য আমরা এই পুকুরটির পুনরুদ্ধার চাই।
পুকুরের ভেতর একটি সাইনবোর্ড দেখে তাদের সঙ্গে কথা বল্লে তারা জানান, আমরা কোনাপাড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লি: যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ২৭৪ এই পুকুরটি গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে তিন বছরের জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক আমরা ১.৪৬ একর জায়গার পুকুর লিজ নিয়ে এসেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের ভূমিদস্যু দের হাত থেকে আমরা রক্ষা পাচ্ছি না আমাদের এই পুকুর ভরাট করে একের পর এক বাড়িঘর নির্মাণ করে আসছে তারা।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা একটা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের জন্য অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে কাশিমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমানের কাছে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারি জমিতে অবৈধভাবে পরবেশ জবরদখল করে জোরপূর্বক পুকুর ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে আর যেন কেউ না করে এবং যাদের বাড়িঘর নিষিদ্ধের পরেও অবৈধভাবে নির্মাণ করেছে তারা যেন স্বেচ্ছায় খুব দ্রুত তাদের বাড়িঘর নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেয়, সেজন্য আমরা নোটিশ প্রদান করেছি।