নিজস্ব প্রতিনিধি
রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলায়, হাইকোর্টের নির্দেশনা অবমাননা করে চলছে অবৈধ বিভিন্ন ইট ভাটাগুলো।
পীরগাছা মোট ২৮টি ইট ভাটার মধ্যে হালনাগাদ নবায়নকৃত ইটভাটার সংখ্যা একটাও না থাকায় ইট ভাটার মালিক সমিতির সভাপতির আসাদুজ্জামান রঞ্জু মাধ্যমে অবৈধ ব্যবস্থাপনায় চালাচ্ছেন ইটের ভাটা। দাওয়াতী কার্ডের মাধ্যমে চলছে অবৈধ পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা গুলো।
পরিবেশ বান্ধব ঝিকঝাকের অন্তরালে চলছে পরিবেশ বিধ্বংসী জ্বালানী কাঠে পোড়ানো অবৈধ ইটভাটা। প্রকাশ্যে পুড়ছে কাঠ, ইটভাটায় নির্গত ধোয়া আর কার্বনের আস্তরণে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ ও কৃষি ফসলের জমি ।
সরেজমিনে পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের কালীগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একহাজার ফুট দুরত্বে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , সড়কের পাশে ফসলের মাঠে একসময়ের মিজান ব্রিকস(এম এন বি ) প্রোপাইটার আবু নাসের শাহা মোঃ মাহবুবার রহমান সাবেক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান থাকা দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার নামে বেনামে রয়েছে একাধিক ইটভাটা যেমন ২/মেসার্স এম বি ব্রিকস ইটাকুমারী ইউনিয়নের প্রতাব জয়সেন, এলাকায় ও মেসার্স মিতা ব্রিকস পারুল ইউনিয়নের মনুরছড়া এলাকায় কয়লার স্যাম্পল সামনে রেখে ভেতরে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি চলছে। পাশেই রাখা আছে গাছের গুঁড়ি ও চেরাই কাঠের স্তুপ।
ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, প্রতি ডিসেম্বরের শুরুতে ভাটার প্রস্তুতি শুরু হয়। এরপর টানা মার্চ মাস পর্যন্ত এ ভাটায় কাঠ ব্যবহার করে ইট তৈরি হয়।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ইট ভাটার বিষয়ে জানান, প্রশাসন তো দেখছে ভাটাগুলো অবৈধ ও ইট তৈরির প্রক্রিয়াও অবৈধ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে।
ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনে লাইসেন্স ব্যতিত ইট ভাটা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ধারা ৮-এর ‘ঘ’তে বলা আছে, কৃষিজমি ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ।
এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এ নাজমুল হক সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, যেসব ভাটায় হালনাগাদ নেই তার মধ্যে কয়েকটি ভাটায় অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে ও কিছু ভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেসব ভাটা আইন লঙ্ঘন করে চলছে সেইসব ভাটাগুলোকে ছিলগালা করে বন্ধ করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
কিন্তু সরজমিনে গণমাধ্যম কর্মীদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে কোন ইটভাটা বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু, মেসার্স খান ব্রিকস, মনিরামপুর একটি ভাটায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অবৈধভাবে কোন ইটভাটা চলতে দেব না, আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে। অভিযান পরিচালনা করার পরে যদি আবারও সেই ইটভাটা গুলো চালু করা হয় তাহলে অর্থদণ্ডসহ তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।