নিজস্ব প্রতিনিধি
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামি ধরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে কাশিমপুর থানার ২ নং ওয়ার্ড শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল এলাকায় বসবাসরত আওয়ামী লীগ নেতা শরিফ বেপারি নামে একাধিক মামলার আসামি কে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে এ, এস,আই মোস্তফা কামাল আকন্দর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পর্ববর্তিতে তিনি স্বীকার করেন এবং বলেন আমি ২নং ওয়ার্ডের চক্রবর্তী এলাকার শরিফ ব্যাপারীর বাসায় তাকে আটক করার জন্য গিয়েছিলাম।
কিন্তু সেখান থেকে কোন রকমে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি এজন্য আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি আরও বলেন আপনারা তো জানেন পুলিশের এখন কি অবস্থা, আমি তার বাসায় গিয়ে শরীফ বেপারীকে হাতে নাতে পাই এবং শরীফ বেপারীকে জানাই।
আপনার নামেতো কোন মামলা নাই ওসি সাহেব আপনাকে স্মরণ করেছে আপনাকে একটু থানায় যেতে হবে।
এর মধ্যে ওসি সাহেব আমাকে মুঠোফোনে ফোন দিলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে শরীফ বেপারীকে নিয়ে বের হয়ে আসতে বলেন।
এ কথাটি শরিফ ব্যাপারীর নিজস্ব লোকজন শুনতে পায় তার পর বাসা থেকে রাস্তার বের হওয়ার মেনই গেট বন্ধ করে দেয় তার পরিবার ।
এবং তার পরিবারের লোকজন আটক কৃত আসামি শরিফ বেপারীকে থানায় আনতে বাঁধা প্রধান করে এবং উত্তেজিত হয়ে ওঠে একারণে আমি তাকে ছেড়ে চলে আসি।
এবিষয়ে বেরিয়ে আসে নাটকীয় ঘটনা সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান গতকাল এই এলাকায় এধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই।
জানা যায় কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্বে এধরণের একাধিক অভিযোগ থাকলেও তিনি রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তিনি ইতিপূর্বে মনপোরার মালিক আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক কে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
শুধু তাই নয় তিনি ধর্ষণ মামলার আসামি অর্থের বিনিময়ে তার বডিগার্ড সারোয়ারের মাধ্যমে
১০ লাখ টাকায় মিমাংসার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসকল কল রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত।
উক্ত বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দায়ের করা সহ বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছে।
এসকল দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি সচেতন মহলের।