নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদের ছুটিতে পরিবারের সাথে ঘরে ফেরার পথে চরম প্রতারণার শিকার হয়েছেন আনুমানিক ৫০ জন যাত্রী। গাবতলী থেকে চান্দুরাগামী রইস পরিবহনের একটি বাস মাঝপথে গাড়ি বন্ধ করে যাত্রীদের নামিয়ে দিলে গভীর রাতে তারা পড়েন চরম বিপাকে। পরে স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার হয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়। তবে রইস পরিবহন ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাড়িই নয় রইস পরিবহন চলাফেরা করে ঢাকার গাবতলী থেকে মহাখালী পর্যন্ত।
শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৩টায় গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে চান্দুরার উদ্দেশে রওনা দেয় রইস পরিবহনের বাসটি। ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে গাবতলী থেকে জিরানী বাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৯ ঘণ্টা। জিরানী বাজারে পৌঁছানোর পর গাড়ির ড্রাইভার আমিনুল ইসলাম বাসটি সিরাজগঞ্জ হোটেলের সামনে পার্কিং করে সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয় এবং জানায়, এই গাড়ি আর চান্দুরা পর্যন্ত যাবে না।
গভীর রাত, ছোট শিশু ও নারীদের নিয়ে রাস্তায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এ সময় একজন যাত্রী নাওজোর হাইওয়ে থানার ডিউটিরত এসআই জাকের আহমেদকে বিষয়টি অবহিত করেন। যাত্রীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে এসআই জাকের আহমেদ নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফোনে বিষয়টি জানান।
ওসির নির্দেশে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং একটি রিকভারি গাড়ি পাঠিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি, রইস পরিবহনের বাসটি জব্দ করে নাওজোর হাইওয়ে থানা।
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় এসআই জাকের আহমেদ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে যাত্রা সম্পন্ন করতে সহায়তা করেন। এতে খুশি হয়ে ভুক্তভোগী যাত্রীরা পুলিশের প্রশংসা করেন।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত এসআই জাকের আহম্মদ এর কাছে যান্তে চাইলে তিনি জানান, বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপারের স্যারের নির্দেশনায় আমি আমার সঠিক দায়িত্ব পালন করছি।
এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ঈদ বা অন্য কোনো ছুটির সময় অনেক অসাধু পরিবহন মালিক ও চালক যাত্রীদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করে থাকে। পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতা সত্ত্বেও কিছু পরিবহন কর্মী সাধারণ যাত্রীদের কষ্টকে পুঁজি করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে। তাই যাত্রীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সতর্কতা জানান যাত্রীদের। যাত্রীরা যেন নির্ভরযোগ্য পরিবহনে ভ্রমণ করে। টিকিট কেনার সময় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও ড্রাইভারের তথ্য নিতে হবে। কোনো প্রতারণার শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ বা স্থানীয় থানায় জানাতে হবে।
এ ঘটনায় রইস পরিবহনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।