নিজস্ব প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিএনপির যুবদলের নেতা সিকান্দার খানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিচারকার্য চালানো, জোরজবরদস্তি ও গরিবদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তিনি প্রায়শই ব্যক্তিগত বসতবাড়িতে স্বেচ্ছাচারিতার সাথে ‘গণআদালত’ বসিয়ে রায় দেন, যা আইনগতভাবে অবৈধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
গ্রাম পুলিশ দিয়ে আটক ও জবরদস্তিমূলক স্বাক্ষর
গত শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে সিকান্দার খান গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে প্রধানিয়া কান্দি এলাকার বাসিন্দা সায়েদ প্রধানিয়াকে আটক করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে তিনি নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দাবি করে একতরফা ‘বিচার’ পরিচালনা করেন এবং ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে রায় দেন।
এরকম অনেক অভিযোগ রয়েছে বিএমপির যুবদলের সভাপতি ৪ নং ওয়ার্ডে ও ইউপি সদস্য, সিকান্দার খানের বিরুদ্ধে গরিব ও অসহায় মানুষদের জোরপূর্বক আটকিয়ে মারধর ও হুমকির মাধ্যমে সাদা কাগজ বা স্ট্যাম্পে জবরদস্তিমূলক স্বাক্ষর নেন, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হয়।
ভুক্তভোগী সায়েদ প্রধানিয়া জানান, ইউপি সদস্য সিকান্দার খান দলীয় ক্ষমতা ও প্রভাব কাজে লাগিয়ে এলাকার দরিদ্র জনগণের ওপর নিয়মিত অত্যাচার চালাচ্ছেন। তার আদেশ অমান্য করলে মামলা দেওয়া, শারীরিক নির্যাতন বা অর্থদণ্ডের শিকার হতে হয় স্থানীয়দের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি অসহায় মানুষদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করে নিজেকে ধনী বানিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, সিকান্দার খান এই স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক স্তরে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনেকেই ভয়ে নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি, তবে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আইনগত পদক্ষেপের দাবি এলাকাবাসীর মানবাধিকার কর্মী ও স্থানীয় নেতারা এই ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ব্যক্তিগত আদালত বসানো বা জবরদস্তি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সেকেন্দার খা এর কাছে জাতীয় দৈনিক জনবানি পত্রিকার প্রতিনিধি জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন। স্থানীয়রা এখন ন্যায়বিচার ও সুরক্ষার আশায় সরকারি হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন।
অনুসন্ধান পর্ব ১ বিস্তারিত।