নিজস্ব প্রতিনিধি
গাজীপুরে আম ছেড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ মাষের আন্তঃস্বত্তা নারীর গর্ভপাত সহ দুই পক্ষের আহত ৯
জামালের পরিবারের এবং আলী আহাম্মদের পরিবারের মধ্যে আম ছেড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় এতে করে জামালের পরিবারের এক নারীর গর্ভপাত সহ গুরুতর আহত ৭ জন অন্যদিকে আলী আহাম্মদের পরিবারের ২ জন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৫ এপ্রিল শুক্রবার কাশিমপুর থানাধীন ০৩ নং ওয়ার্ড গোবিন্দবাড়ীর দেওয়ানপাড়া এলাকায় আম ছিঁড়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ ৭ জন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর গর্ভে থাকা সন্তান মারা যায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এলাকায় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলমের জমিতে থাকা একটি আম গাছ থেকে দুইটি আম ছিঁড়েন অন্তঃসত্ত্বা রোনিয়া আক্তার। জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে দেখাশোনা করছিলেন আলী আহম্মেদের পরিবার।
অভিযোগ উঠেছে, অনুমতি না নিয়েই আম ছিঁড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলী আহম্মেদের পরিবারের সদস্যরা রোনিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে রোনিয়া আক্তারের স্বামী আলামিন ও তার পরিবার কাশিমপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মৃধার কাছে সামাজিক সমাধানের জন্য গেলে তিনি সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন এবং সাথে সাথে তার একজন প্রতিনিধি দ্বারা আলী আহম্মদ কে জানায় কোনো প্রকার আর ঝগড়ার সৃষ্টি না হয়, তার কথা আলী আহম্মদরা আবমাননা করে এবং জামাল উদ্দিন সহ তার পরিবার বাড়ি ফেরার পথে আলী আহম্মদদের দ্বারা হামলার শিকার হন।
আহত রোনিয়া আক্তার, তার শ্বশুর জামাল উদ্দিন, স্বামী আলামিন এবং দুই দেবর জয়নাল আবেদীন ও জাহাঙ্গীরকে মারধর করে আলী আহম্মেদ ও তার তিন ছেলে—বাছের, সুমন ও সুজন। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশে কল করলে ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোনিয়া আক্তারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার ৪ মাসের গর্ভের সন্তান মারা যায়।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আলী আহম্মেদের পরিবারও দাবি করেছে, সংঘর্ষে তাদের পরিবারের দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান আলী আহাম্মদের ছোট ছেলে সুমন।
এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন এবং আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।