গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের গাড়িচালক মোঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ইটভাটা ও ফ্যাক্টরির লাইসেন্স দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নিজেকে দপ্তরের ‘প্রভাবশালী’ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অসাধু উপায়ে অর্থ আদায় করে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল জীবনযাপন।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান লাইসেন্স অনুমোদনের আশ্বাস দিয়ে একাধিক ইটভাটা মালিক এবং বিভিন্ন কারখানার উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করেন। অনেক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, টাকা নেওয়ার পর লাইসেন্স দেওয়া হয়নি এবং কোনো রকম যোগাযোগও রাখা হয়নি। এমনকি কারও কারও সঙ্গে প্রতারণা করে চুক্তিপত্র না রেখে মৌখিকভাবে বিশ্বাস আদায় করেই টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিজান নিয়মিতভাবে নিজেকে ‘ডিপার্টমেন্টের বিশেষ লোক’ বলে পরিচয় দেন এবং ফাইল অনুমোদনের জন্য ‘জুস খাওয়ানোর’ নাম করে ঘুষ দাবি করেন। বর্তমানে তার নামে রয়েছে একাধিক গাড়ি, জমি ও বাড়ি সহ পরিবহন বাস। এই সম্পদের উৎস নিয়ে রয়েছে জনমনে প্রশ্ন।
এ বিষয়ে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আরোফিন বাদল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, একজন ড্রাইভার কখনো পরিবেশে লাইসেন্স দিতে পারে না যখন তথ্য ফরমান চলে আসে সেই বিষয়ের উপর ।
পরিবেশের উপ-পরিচালক এমতাবস্থায়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা,১৯৮৫ আপনার বিরুদ্ধে কেন শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে না তার উপযুক্ত জবাব আগামী ৩ (তিন) কার্যদিবসর মধ্যে ড্রাইভার মিজানুর রহমান অত্র কার্যালয়ে দাখিল করা জন্য নিদর্শ প্রদান করেন তিনি প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও সেই সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে, যা প্রশাসনিক নৈতিকতা ও জনসেবার মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
জনসাধারণের দাবি, বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যেন একজন গাড়িচালকের পরিচয়ে কেউ আর এভাবে দপ্তরের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে না পারে।