নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মরত গাড়িচালক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাণিজ্য, প্রতারণা, আর্থিক দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে, ঢাকার ধামরাই এলাকার শাজাহান নামের এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ‘ইটভাটার লাইসেন্স করে দেওয়ার’ আশ্বাস দিয়ে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন মিজানুর রহমান। তবে নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও কোনও লাইসেন্স না দিয়ে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ভুক্তভোগীর দাবি, এটি কোনো একক ঘটনা নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে আসছেন এই সরকারি কর্মচারী।
ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধানে সাংবাদিকরা তার কাছে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ক্যামেরা দেখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।
মিজানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি দায়িত্বে থেকে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। ব্যবসায়ী, গাড়ি ও বাড়ির মালিকদের সঙ্গেও তিনি এ ধরনের প্রতারণামূলক লেনদেনে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আরেফিন বদলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “প্রতারণার অভিযোগের কিছু তথ্য প্রামান হাতে এসেছে তা দেখে ড্রাইভার মিজানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে লিখিত নুটিষ দিয়ে আগামী তিন কার্যদিবসে মধ্যে তথ্য প্রামান কার্যালয়ে দাখিল করা জন্য নির্দেশ প্রধান করেছেন উপ পরিচালক
ভুক্তভোগীরা দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
পর্ব ২
—