নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ জামাল হোসেন
আশুলিয়ার আউক পাড়া মাজার গেইট ও ত্রিশ ফুট এলাকায় একদল অপরাধী মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপরাধে ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুটার সাদ্দাম, রফিক, জুয়েল, অপু, রাসেল ও হোসেন নামের এই চক্রের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা থাকলেও তারা অবাধে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই গ্যাংটি প্রকাশ্যে মাদক পাচার, চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত।
এলাকাবাসী বারবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় তারা দিন দিন আরও স্পর্ধিত হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, “আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা ও অকাট্য প্রমাণ থাকলেও তাদের বাহিনীর কিছু দুষ্কৃতিকারীর চ্যালেঞ্জ এবং দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়নি।
তবে আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি।”
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকৃত মাদক কারবারীরা নিজেদের প্রশাসনের নজরদারী থেকে আড়াল করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্যউপস্থাপন করে সংবাদ প্রকাশ করায়।
কিছু সাংবাদিক লিখিত অভিযোগের ভিক্তিতে অনুসন্ধান বিহীন এলাকার নিরীহ ব্যাক্তিদের নামে মিথ্যা রিপোর্ট করে সন্মানিত ব্যাক্তিদের মানহীন করছে।
এতে করে প্রকৃত মাদক কারবারী ও সন্ত্রাসী আড়ালে থেকে যাচ্ছে। প্রকৃত দোষীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারীর বাহিরে চলে যাচ্ছে।
যার ফলে প্রশাসনিক তৎপরতায় এলাকা মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত হবে এমন বিশ্বাস সাধারন মানুষ হারিয়ে ফেলছে।
এলাকাবাসী এই মিথ্যা সংবাদ ও অভিযোগের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অপরদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আশুলিয়ার সাধারণ মানুষ আতঙ্কে জীবনযাপন করতে বাধ্য হবেন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।