নিজস্ব প্রতিনিধি
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার আউকপাড়া এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার সাদ্দাম বাহিনীর অন্যতম সদস্য কাইল্যা অপুকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারের পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়রা এখন শুটার সাদ্দামসহ বাকি সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছেন।
ডিবি পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি অভিযান চালিয়ে কাইল্যা অপুকে আটক করা হয়।
এলাকাবাসী, যারা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কথা বলেছেন, তারা জানান, শুটার সাদ্দাম বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়া ও আশেপাশের এলাকায় হত্যা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম, ভাংচুর ও লুটপাটের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
এই বাহিনীর প্রধান শুটার সাদ্দাম রাতের বেলায় হাইয়েস গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও তাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
কাইল্যা অপুর গ্রেফতারে আশুলিয়াবাসী স্বস্তি বোধ করলেও শুটার সাদ্দাম ও তার বাকি সহযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা ঢাকা জেলা উত্তর ডিবির ওসি ও ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন।
শুটার সাদ্দাম বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, মাদক পাচার, চাঁদাবাজি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি কুমিল্লার দেবিদ্বারে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাজ্জাক রুবেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও এই গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ উঠেছে ।
ডিবি পুলিশের এসআই মেহেদী, এসআই আনোয়ার, এসআই সিকান্দার ও ফরমা খালেক, পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রাজিউর, এসআই সাইফুল সহ কতিপয় প্রশাসনের লোকের শুটার সাদ্দামের সাথে যোগসাজশ থাকায় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকা স্বত্তেও শুটার সাদ্দাম ও তার বাহিনীকে আইনের আওতায় না আনা যাচ্ছেনা। তারপরও কাইল্যা অপুকে ধরার এই অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ডিবি পুলিশের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নিরীহ এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর আশা, শুটার সাদ্দাম ও তার সমস্ত সহযোগীকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে, যা আশুলিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনবে।
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাফল্য সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য। যেমন, ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও কুষ্টিয়ার মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে , এবং মোহাম্মদপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী শায়নকে আটক করা হয়েছে ।
আশা করা যায়, শুটার সাদ্দাম বাহিনীর বিরুদ্ধেও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যা এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা ও শান্তি ফিরিয়ে আনবে।