নিজস্ব প্রতিনিধ
মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ সংবাদ প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করায় দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি মোঃ আনোয়ার হোসেন সৌরভের বিরূদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করছে কুচক্রী মহল।
গাজীপুর মহানগরের জিএমপি সদর থানার পূর্ব ধীরাশ্রম এলাকার পলিমা স্কুল রোডে আতিকের কাঠের ফার্ণিচারের দোকানের পূর্ব পাশের হাফ বিল্ডিং ঘরে গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট ২০২৩) সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকায় মোঃ সিদ্দিক মাস্টারের পুত্র মোঃ আতিক সহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করে ১,০০,০০০/- টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে মাদকসহ ধৃত আসামীদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে জিএমপি সদর থানার পুলিশের এসআই আব্দুল্লাহ আল রুম্মানের বিরুদ্ধে । এরই প্রেক্ষিতে দৈনিক গণকন্ঠে গত শনিবার (২৬ আগস্ট ২০২৩) সংবাদ প্রচার হলে দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের গাজীপুর প্রতিনিধি সানাউল্লাহ নুরী, দৈনিক এই বাংলার গাজীপুর প্রতিনিধি মোঃ নাসির উদ্দিন ও কমল সংবাদকর্মী আনোয়ারকে জয়দেবপুর বাজারে কলাপট্টি সুমনের চা এর দোকানে ০২ ঘন্টা আটক রাখে ও আইডি কার্ড জোর করে ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সিনিয়র সাংবাদিকরা উক্ত বিষয়ে আপোষ মিমাং করে। এসআই আব্দুল্লাহ আল রুম্মানের অভিযোগ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিবি উত্তরের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুবীর কুমার অনুসন্ধান বা তদন্ত করা কালে সানাউল্লাহ নুরী, নাসির, কমল অভিযূক্ত এসআই এর পক্ষে স্বাক্ষীর জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর থেকে সংবাদকর্মী আনোয়ারের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
জয়দেবপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের কর্তব্যরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টিকেট কালোবাজারিসহ বিভিন্ন দূর্নীতি অনিয়ম সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক ভোরের আলোর নির্বাহী সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল সংবাদকর্মী আনোয়ারকে মোবাইলে ফোন করে সংবাদ প্রচার করতে নিষেধ করলেও দৈনিক গণকন্ঠে সংবাদ প্রচার করা হয়। এতে আনোয়ার ও ইব্রাহিমের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
গাজীপুর মহানগরের জিএমপি টঙ্গী পশ্চিম থানার সাতাইশ এলাকার সাতাইশ হাই স্কুলের সামনে মোঃ জামাল হোসেনের ছেলে মোঃ কামাল হোসেন সুমনের দোকানে গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট ২০২৩) সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকায় ০৪ পিস ইয়াবা দোকানে ফেলে দিয়ে গ্রেফতার করে ৪৫,০০০/- টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে জিএমপি টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশের এএসআই মোঃ তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে । এরই প্রেক্ষিতে দৈনিক গণকন্ঠে সংবাদ প্রচার না করার জন্য দৈনিক এই বাংলার গাজীপুর প্রতিনিধি নাসির ও আনন্দ টিভির গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি শাকিল সংবাদকর্মী আনোয়ারকে ১০,০০০/- টাকা দিতে চাই। আনোয়ার রাজি না হওয়ায় নাসির তার বাসায় এসে চাপ প্রয়োগ করে। এর পরের দিন দৈনিক গণকন্ঠ সংবাদের মাল্টিমিডিয়া ও ই-পেপারে সংবাদ প্রচার হয় এবং ভুক্তভোগী মোঃ কামাল হোসেন সুমন পুলিশের আইজিপি বরাবরে অভিযোগ প্রদান করে।
অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করায় কুচক্রী মহলের স্বার্থে আঘাত লাগে। এর প্রেক্ষিতে ক্ষীপ্ত হয়ে আনোয়ারের সাংবাদিক কাজে বাঁধা প্রদানের অসৎ উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে সংবাদে উল্লেখ করে “আনোয়ার গাজীপুরের মস্তবড় সাংবাদিক। যখন পুলিশের সোর্স বা তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছে সে সময়ের রপ্ত করা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বেড়াচ্ছে সে। ফলে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করা তার পক্ষে হয়ে ওঠে সহজসাধ্য। ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে মোটা অংকের টাকা দিয়ে কিনে নেন পত্রিকার আইডি কার্ড। হয়ে উঠেন মস্তবড় সাংবাদিক। অতীতের সোর্সের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এখন সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে জাহির করেন। করে বেড়ান একের পর এক অপরাধ কর্মকান্ড। প্রশ্ন হচ্ছে, কখনো পুলিশের সোর্স, কখনো গাজীপুর জজ কোর্টের মহোরী, কখনো আবার সাংবাদিক, কখনো পুলিশ এস.আই(দারোগা) নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কথিত নামধারী সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সৌরভের খুঁটির জোর কোথায়? তার বিরুদ্ধে এখনই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে বলে দাবী করেন সচেতন মহল। পুলিশকে দেওয়া বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদানে হয়ে উঠেন ভয়ঙ্কর সোর্স। এখানেও এসে শুরু করেন রাইটারের কাজ। সোর্স ও রাইটিংয়ের কাজের সুবাদে সদর থানার পুলিশ অফিসারদের সাথে গড়ে উঠে তার সখ্যতা। এই সুযোগে তিনি নিজেকে পুলিশের এসআই দাবি করে বিভিন্ন লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতে থাকেন এমনও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের নেপথ্যে সৌরভ: গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানার এসআই/এএসআইদের বিরুদ্ধে জিএমপি কমিশনার বরাবর একের পর এক অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছেন কথিত সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন সৌরভ। সম্প্রতি সৌরভের যোগসাজসে টঙ্গী পশ্চিম থানার এস.আই তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন সুমন নামের এক সবজি বিক্রেতা।
ভুক্তভোগী সুমন জানান, অভিযুক্ত টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশের এএসআই তৌফিকুল ইসলাম অভিযোগের শাস্তি থেকে রক্ষার নিমিত্তে মোঃ কামাল হোসেন সুমনকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে অভিযোগ তদন্ত বা অনুসন্ধান কালে তদন্ত কার্য ব্যাহত করার জন্য কুচক্রী মহলের সাথে যোগসাজশে সংবাদকর্মী শাকিল, নাসির, নুরী, ইব্রাহীম বিভিন্ন কৌশলে চাপ ও হুমকি দিতে থাকে। সাংবাদিক আনোয়ার বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় অপপ্রচার করতে থাকে।
আনোয়ার বলেন, সালনা ইপসা এলাকা থেকে কল্পনা নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে প্রলোভন দেখিয়ে ৪২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ, অটোরিকশা চালক সম্রাট এর কাছ থেকে ১২’শত টাকা নেওয়াসহ আরো অনেক মিথ্যা অভিযোগ তুলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে থানায় বা কোর্টে কেউ কোন অভিযোগ মামলা করে নাই। আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই। শুধুমাত্র আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করে সাংবাদিক কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে বিভিন্নভাবে আমাকে জেল কাটাবে হুমকি দিতে থাকে।