স্টাফ রিপোর্টার সেলিম রেজা,
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ও হাইওয়ে পুলিশ প্রধান মো. শাহাবুদ্দিন বলেছেন, প্রযুক্তি কিন্তু আমাদের সেবার মান উন্নয়ন করে, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এজন্য এবারও আমরা বডিওন ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা আমরা ব্যবহার করবো। বিশেষ করে যেখানে যেখানে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কিন্তু আমাদের ড্রোন থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে কিন্তু আমরা ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়ক থেকে নির্মান সামগ্রী অপসারণ করা হয়েছে। নির্মান কাজ চলায় যেখানে যেখানে ঘেড়াও করা ছিল নির্মান কাজের জন্য সেগুলো কিন্তু পরিস্কার করা হয়েছে এবং আরও কিছু করা হবে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতরের যাত্রা উপলক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি এবং ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এবারের ঈদ যাত্রায় গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত এবং নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত সড়কের মানোন্নয়ন ও নির্মান কাজ চলছে। ইতো মধ্যেই রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কয়েক দফায় কথা হয়েছে, সমন্বয় হয়েছে। নির্মান কাজ চলমান থাকলেও ঈদের আগ পর্যন্ত মহাসড়ক যে অবস্থায় তারা রাখবেন তাতে আমাদের ঈদ যাত্রায় কোন বাধা তৈরি হবে না।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, আশা করি ঈদ যাত্রা হয়তো আজকে থেকেই শুরু হবে ও কাল পরশু থেকে আরও বাড়বে। আগামী ৬ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত আমরা কর্মমুখী মানুষদের ব্যাপক হারে সড়কে দেখতে পাবো। সেক্ষেত্রে আমাদের সড়ক প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিকভাবে নেওয়া হয়েছে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ অফিসাররা যেমন- জেলাপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ স্বার্বিকভাবে আমরা সড়ক মহাসড়ক পরিদর্শন করছি। আমাদের প্রস্তুতিকে আমরা রিভিউ করে নিচ্ছি যাতে করে এবার ঘরমুখো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদযাত্রা করতে পারে, নিরাপদে তাদের স্বজনের কাছে পৌছতে পারে এবং যাতে ফিরে আসতে পারে।
তিনি বলেন, ঈদ যাত্রা উপলক্ষে কিন্তু এক ধরনের অপরাধী চক্র মাথা চাড়া দেয়। বিশেষ করে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীরা তৎপর হয়ে উঠে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে কিন্তু ১ মাস আগে থেকে বিভিন্ন অপরাধ প্রবন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। হিউজ পরিমান অপরাধীকে কিন্তু ধরা হয়েছে। এব্যাপারে আমাদের নজরদারি রয়েছে, সাদা পোশাকে নজরদারি রয়েছে। এই ধরনের অপরাধী থেকে যাত্রী সাধারনকে সচেতন থাকতে হবে। এদের কোন ধরনের আলামত কিংবা সন্দেহ হলে আমরা যেন ৯৯৯ এ কল দেই। পুলিশকে যেন আমরা সহায়তা করি তাহলে এধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের স্ব-স্ব জায়গা থেকে যেন আমরা একটা দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকি। তাহলেই ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন হবে। নবীনগর-চন্দ্রা ও চন্দ্রা-মির্জাপুর সড়ক দিয়ে কিন্তু লাখো লাখো মানুষ বাড়ি ফিরবে। এই সড়কের যে স্থান থেকে যাত্রী সাধারন গাড়িতে উঠবেন, সেসব স্থানে যেন আমরা যানবাহন এমন করে না রাখি যাতে যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রী সাধারনের প্রতি আহবান যানজট হবে এমন করে যেন আমরা গাড়িতে না উঠি।
ঝুঁকিপূর্ণ অনিরাপদ যাত্রা, বিশেষ করে বাসের ছাদে, ট্রাক ও পিকআপে আমরা যেন যাত্রা না করি। এধরনের যানবাহনের চালক ও মালিকপক্ষকে বলবো এধরনের যাত্রা থেকে যেন তারা বিরত থাকেন। এধরনের যাত্রা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চাই এবাবের ঈদ যাত্রায় আমরা যেন আনন্দের সাথে বাড়ি যাই এবং আনন্দের সাথে ফিরে আসতে পারি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি, সাভার মডেল থানার পরিদর্শক শাহ-জামান, আশুলিয়া থানার পরিদর্শক এএফএম সায়েদ, সাভার হাইওয়ে থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।