নিজস্ব প্রতিনিধি
আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : কৃষিই সমৃদ্ধি এই স্লোগানকে সামনে রেখে যশোরের ঝিকরগাছায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ১৭২০জন কৃষকের মাঝে বীজ ও বিতরণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের ভিডিও কনফারেন্স রুমে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের বাস্তবায়নে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের কর্মসূচির আওতায় খরিপ-২/২০২৪-২৫ মৌসুমে রোপা আমন (উফশী) আবাদ বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, তৃণমূলের কৃষকরাই আমাদের আপন মানুষ। আমরা যারা ব্যবসা করি তারা কিন্তু প্রতারণা করি তবে যারা কৃষক তারা কখনো প্রতারণা করি না। কৃষকের মুখের হাসি দেখলে আমাদের মনডা ভালো লাগে। এই কৃষক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। কৃষকরা আছে বলেই আজ আমরা এখানে আছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইমরানুর রশিদ, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জেসমিন সুলতানা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুস সমাদ, উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মফিজুর রহমান, উপ সহকারী কৃষি অফিসার নয়নানন্দন পাল নয়ন, ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, উপকারভোগী কৃষক-কৃষানীবৃন্দ।
ঝিকরগাছার জেসমিন সুলতানা পেলেন বিআরডিবি’র শ্রেষ্ঠ মাঠ সংগঠক’র পুরস্কার
আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছার জেসমিন সুলতানা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর সুচক নং -২.১.৩ মোতাবেক গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে পল্লীর দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ এ বিভাগের আওতায় শ্রেষ্ঠ মাঠ সংগঠক (নারী) ক্যাটাগেরীতে দেশ সেরা পুরস্কার গ্রহন করেছেন। সম্প্রতি ১২জুন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের এপিএ সেল’র সিনিয়র সহকারী সচিব নাহ্রিন সুলতানা স্বাক্ষরিত স্বাক্ষরিত স্মারকের মাধ্যমে প্রকাশ পায় যে, তিনি বিআরডিবি’র দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাঠ কর্মী/ মাঠ সংগঠক (নারী) ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে ২৫জনু আর একটি স্মারকে তাকে জানানো হয় সম্মাননা স্মারক গ্রহণের জন্য ২৬জুন সকাল ১১টার সময় বাংলাদেশ সচিবলায়ে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হয়। যথারীতি ২৬জুন নিজে উপস্থিত হয়ে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ (দারা) ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুনের নিকট থেকে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ গ্রহণ করেছেন জেসমিন সুলতানা। সে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও ঝিকরগাছা সম্মিলনী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহিন উল কবির’র সহধর্মিনী।
সম্মাননা পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে জেসমিন সুলতানা বলেন, আমি কখনো আমার কাজে অবহেলা করিনি। আমার এই সম্মাননা পাওয়ার পেছনে ছিল আমার একান্ত প্রচেষ্টা। এপর্যন্ত আমি ১১৮ জন অসহায় দুস্থ্য নারীকে, নারী উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলেছি। এছাড়াও ২০টি সমিতির ৭৩৮ জন দরিদ্র নারীকে বিভিন্ন আইজিএ তে প্রশিক্ষণ ও অনেকের প্রশিক্ষনোত্তোর ঋণ সহায়তা দিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পুষ্টি বাল্য বিবাহ, স্যানিটারী পায়খানা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি এবং যেসব নারীকে ঋণ সহায়তা দিয়েছি ২০১৪-২৪ সালের মধ্যে কেউ অদ্যবধি ঋণ খেলাপি হয়নি।
উল্লেখ্য, তিনি ২০১৮ সালের ২৮ জুন রাজধানীর বিসিএস প্রশাসনিক ভবনে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচীব মোস্তফা গোলাম ফারুক মহোদয়ের নিকট হতে শ্রেষ্ঠ মাঠ সংগঠকের সম্মাননা স্মারক, সনদ ও ২০,০০০/- টাকার প্রাইজবন্ড গ্রহন করেছিলেন।