নিজস্ব প্রতিনিধি
গাজিপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর ৪নং ওয়ার্ডের সিটি কর্পোরেশনের ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী হাজী মার্কেট এলাকায় গত দুই মাস যাবত বাসা বাড়ির ময়লা নেওয়া হয়নি বলে জানান নগরবাসী।
যার কারণে অলিগলি ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে তৈরি হয়েছে আবর্জনার স্তূপ। আবার কোথাও কোথাও এসব অবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রাস্তার মাঝখানে, ফুটপাতে। বৃষ্টি হলেই পানির সঙ্গে এসব আবর্জনা ছড়াচ্ছে নগরজুড়ে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এসব স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধ এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে নগরবাসী।
এলাকাভিত্তিক এ ময়লা অপসারণের কারণে যত টাকা খরচ হয় প্রতিটা ছোট বড় রুম থেকে ৭০ টাকা করে নেয়া হয় এর বহুগুণ টাকা আদায় হয় এতে সুযোগসন্ধানী লোকের কাছে একটি লোভনীয় ব্যবসায় পরিণত করেছে।
কিন্তু আইন অনুযায়ী এই সিটির ময়লা অপসরণের দায়িত্ব গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এজন্য এসিটির স্থায়ী বাসিন্দাদের কাছ থেকে নির্ধারিত ট্যাক্সও আদায় করে ফলে এই ময়লা অপসারণের জন্য নগরবাসীকে দুইবার টাকা দিতে হচ্ছে। আগে শুধু ট্যাক্স দিলেই ময়লা নিয়ে যেতো সিটি কর্পোরেশন ময়লা নিতে দেরি হওয়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হতো নগরবাসীকে। যার কারণে এলাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব দিয়ে ময়লা অপসারণ করার জন্য প্রত্যেকটা রুম প্রতি ৭০ টাকা করে দিতে হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এ টাকা প্রত্যেক মাসে নিয়ে যায় কিছু সুযোগসন্ধানী ময়লা ব্যবসায়ী। গত দুই মাসের টাকা দিয়েও ময়লা সরাচ্ছেনা ময়লা ব্যবসায়ীরা।
নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি করপোরেশন অব্যবস্থাপনার কারণেই এসব ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ময়লার দুর্গন্ধে নগরবাসীকে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আগে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হতো, বাসায় বাসায় গিয়ে ডোর টু ডোর ময়লা নিয়ে আসতো, রাস্তার উপর ছিল না ডাম্পিং। দেখা যেতো না রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা। এখন তার উল্টো চিত্র।এসব অভিযোগের সতত্যা মিলেছে সাংবাদিক দের টানা তিন দিনের নগরীর বিভিন্ন সড়কের সরেজমিন পরিদর্শনে। শুধু পরিদর্শন নয় সম্প্রতিক একটি দাতা সংস্থার করা একটি জরিপও উঠে এসেছে প্রতিদিন জমা হওয়া আবর্জনার তিন ভাগের দুই ভাগ সিটি কর্পোরেশন অপসারণ করলেও একভাগ রাস্তা-ঘাটে পড়ে থাকে।
পথচারীরা জানান, সকালে অফিসে যাওয়া সময় নাক-মুখ চেপে অফিসে যেতে হচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে রাস্তাজুড়ে। এতে দূষিত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। এসব ময়লা বৃষ্টি হলেই পানির সাথে ছড়িয়ে যাচ্ছে আশপাশে। পরিবেশ হয়ে উঠছে দুর্গন্ধময়।
এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউর কাজির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোথাও বর্জ্য বা ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান নেই। যার কারণে আমার ওয়ার্ডের ময়লা আমার ওয়ার্ডের বাইরে অন্য মাঠে ফেলা হতো সেখানে স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ার কারণে ময়লা নিতে দেরি হয়েছে। আমার কাছে কিছু বাড়ির মালিক ফোন দিয়েছে ময়লা নেওয়া হচ্ছে না আমি বলেছি যদি ময়লা না নেয় আপনারা কেউ ময়লার টাকা দেবেন না। যদি কেউ টাকা দিয়ে থাকে আর যদি ময়লা না নেওয়া হয় আমি সেটার ব্যবস্থা নেব বলে জানান তিনি।