নিজস্ব প্রতিনিধি
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের একদফা একদাবি ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার কোটাবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী ক্যাম্পাসে-ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ এর অংশ হিসাবে যশোরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। উক্ত কর্মসূচীতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ সহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। টানা চারদিন বাংলা ব্লকেড পালনের পর নতুন এ কর্মসূচি দেয় আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
যশোরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। যশোর প্রেসক্লাব এর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা দড়াটানা ভৈরব চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় তারা বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের স্থানে বৃহস্পতিবার কোটা বিরোধী আন্দোলনরতো শিক্ষার্থীদের উপরে পুলিশেরে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবো, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের। আপনারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনুন। হাইকোর্টের আংশিক রায়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। হাইকোর্টের আংশিক রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটার সংস্কার করতে পারে। এ বিষয়টিই আজ স্পষ্ট হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে কেন লাঠিচার্জ করা হলো? শাবিপ্রবিতে হামলা করা হয়েছে, চবিতে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নারী পুলিশ হামলা করেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে, রাবিতে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। মাভাবিপ্রবিসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে তারা অতি উৎসাহী। সেই পুলিশদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আমরা মনে করি, এতে সরকারেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আপনারা এতদিন আমাদের বলেছেন, আদালতের প্রতি ভরসা রাখতে। এখন আদালত আপনাদের দায়িত্ব দিয়েছে সেটি আপনারা পালন করুন।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা জানায় “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন” এর পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী তারা মাঠে নামবেন।