নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪৯ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় কাশিমপুরের ১ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে পানিশাইল এলাকায় ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির অফিসে এই দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান খান এর সঞ্চালনায়, সভাপতিত্ব করেন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মমিন হোসেন ভান্ডারী।
আরো উপস্থিত ছিলেন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম (নুরু)সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও আমজনতা।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কালে মিজান খান বলেন, বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান। শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পেরেছে কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি,
জীবিত শেখ মুজিব থেকে মৃত শেখ মুজিব অনেক শক্তিশালী। বি,এন,পি সরকার ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পাকিস্থান থেকে যুদ্ধে ব্যাবহৃত শক্তিশালী ১৩ টি গ্রেনেড ছুড়ে প্রধানমন্ত্রী সহ তার নেতাকর্মীদের হত্যার চেষ্টা করে।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ -সভাপতি মমিন হোসেন ভান্ডারী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কালে বলেন ,
১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস, ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের দিন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কিছু সংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল। সেদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি,তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আব্দুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকেও হত্যা করা হয়। তাই এই দিনটিকে বাঙালি জাতি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে।
অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু ও সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও গণভোজের আয়োজন করা হয়