স্টাফ রিপোর্টা রমোঃ আনোয়ার হোসেন
ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার বেশ কয়েকটি উপজেলা। এরই মধ্যে নামতে শুরু করেছে সেই পানি। ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। আকস্মিক এ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। পানিতে তলিয়ে গেছে লক্ষাধিক হেক্টর জমির আমন ধান, পচে গেছে সবজি ক্ষেতের ফসল। ভেসে গেছে খামারের মাছ। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রচুর ঘরবাড়ি। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে প্লাবিত গ্রামগুলোর অধিকাংশ সড়ক। দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের সংকটও। বন্যায় এ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সরকারের কোনো উপদেষ্টা পরিদর্শনে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্যার্তরা। প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা অবশ্য দাবি করেন, সবার কাছেই ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। তবে যোগাযোগ সমস্যার কারণে কিছু এলাকায় যেতে সমস্যা হচ্ছে।
শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় নদ-নদীর পানি কমায় এবং নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমলেও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। এখনো পানির নিচে নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে রয়েছেন তারা। সেনাবাহিনী, র্যাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা শুকনো খাবারসহ অন্যান্য জরুরি সামগ্রী বিতরণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। আবার সব জায়গায় এসব ত্রাণসামগ্রী সময়মতো পৌঁছাচ্ছেও না। ফলে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই। পাঠদান বন্ধ রয়েছে জেলার বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয়।