নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ জামাল আহমেদ
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের বাউন্ডারি ওয়ালের উপর দিয়ে মাদক ও মোবাইল ছুড়ে মারার ঘটনার বিরুদ্ধে আইনি কঠোর অবস্থান নেয় জেলার।
সত্য ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করে বিভিন্ন মাধ্যমে জেলারের বিরুদ্বে অপপ্রচার করে আসছে একটি কুচক্রী মহল।
আওয়ামী এমপি মন্ত্রীসহ নেতাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এমন প্রপাকান্ড বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে কাশিমপুর কারাগারের জেলার আসাদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
উক্ত ঘটনা সমূহ সঠিক তথ্য যাচাই করতে,বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি সরজমিনে গিয়ে জাতীয় দৈনিক জনবানী পত্রিকার প্রতিনিধি কাশিমপুর কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান এর নিকটে জানতে চাইলে,তিনি বলেন।
আমি ও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে।এ সকল মিথ্যা ,ভিত্তিহীন খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন।এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি,সবগুলো মিথ্যা সাজানো নাটকমাত্র।
হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার কেইস টেবিলে,কারনে অকারনে বন্দীদেরকে দাংগা বাহিনী টিম দিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করেন।এবং দাংগা বাহিনী ভেতরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিধান করে টহল দেয়ানো হয় যেটা ইতিপূর্বে ছিলনা।
এমন প্রশ্ন করলে জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলের ভেতরে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামি যদি কেউ হাইসিকিউরিটি আইন অবমাননা করে তাইলে তাদের উপর আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ।
কাশিমপুর কারাগারে বেশিরভাগ আসামী দন্ডপ্রাপ্ত হয়,এজন্য আমাদের একটু ভার্তি সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়।
আপনারা জানেন যে ৫ আগস্টের পরে কাশিমপুর কারাগার থেকে বেশ কিছু অপরাধীরা জেল থেকে পালিয়ে যায়।
যার কারণে আমাদের জেলখানার সব বিষয়ে হাই সিকিউরিটিতে রাখতে হয়।
কাশিমপুর কারাগার নিয়ে অসত্য তথ্যা ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।
এবং কাশিমপুর কারাগারের মানসম্মান ক্ষুন্ন করা হচ্ছে আমি ও আমরা এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।