গাজীপুর মহানগর কাশিমপুরে ১ নং ওয়ার্ডের পানিশাইল এলাকার ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি মোশারফ হোসেন মৃধার উদ্যোগ
সামর্থ্যহীনদের জন্য ওমরাহর করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনাতে ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন সামর্থ্যহীন
শিবরামপুর বাইতুল কারীম জামে মসজিদ এর ইমাম মাহমুদুল হাসান, দক্ষিণ পানিশাইল হাসিমিয়া জামে মসজিদ এর মোয়াজ্জেম হেফজুর রহমান, এবং মোঃ আতিক হোসেন
আজ সোমবার ১৩ নভেম্বর মোশারফ হোসেন মৃধার ব্যক্তিগত অফিসে এ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জেমদের মাঝে ওমরার ভিসা ও প্লেনের টিকেট বিতরন করেন।
ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়ে শিবরামপুর বাইতুল কারীম জামে মসজিদ এর ইমাম মাহমুদুল হাসান মোশারফ হোসেন মৃধা প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, সমাজের ভিতরে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের বেতন সবথেকে কম হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও কাবা ঘর জিয়ারত করতে যেতে পারেন না আমার মতন অনেকই। আমি ব্যক্তিগতভাবে উনার উপর কৃতজ্ঞ। মক্কা-মদিনাতে আমি সারা দেশের মানুষের জন্য দোয়া করব। মহানবী (সা.) সব সময় তাঁর উম্মতের জন্য দোয়া করতেন, সব মানুষের ভালো চাওয়ার শিক্ষা তিনি আমাদের দিয়েছেন।
দক্ষিণ পানিশাইল হাসিমিয়া জামে মসজিদ এর মোয়াজ্জেম মোঃ হেফজুর রহমান
ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়ে শুকরিয়া প্রকাশ করে বলেন, এই মুহূর্তে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমার দ্বারা ওমরা করা কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, পবিত্র ওমরাহ্ পালনের সুযোগ পেয়েছি। রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকে নামাজ পড়ে সবার জন্য দোয়া করব।
মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের উমরায় পাঠানোর বিষয়ে মোশারফ হোসেন মৃধা বলেন, আমি আমার পিতা মাতার রুহের মাগফেরাতের জন্য ১নং ওয়ার্ডের সামর্থ্যহীন ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের ওমরায় পাঠানোর জন্য নিয়ত করেছি। এর আগে দুইবারে ওমরা পালনের জন্য ৯জন গিয়েছে। এবার তৃতীয়বারের মতন তিনজন কে পাঠাতে পেরেছি। অনেকেই রয়েছেন যাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সামর্থ্য না থাকায় কাবা ঘর জিয়ারত করতে পারেন না। তাদের মতন সামর্থ্যহীন ইমাম ও মুয়াজ্জামদের ওমরায় পাঠাতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার ইচ্ছা মসজিদের ইমামদের ও মোয়াজ্জেমদের পর এলাকার সামর্থ্যহীন মুসল্লিদেরকেও ওমরা পালন করতে পাঠাবো।যদি আল্লাহ তাআলা আমাকে সুস্থ রাখেন।
আলোচনা শেষে প্লেনের টিকিট প্রদান করা হয় এবং সুস্থভাবে ওমরা পালনের জন্য দোয়া করা হয়।
সময় ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেনগন উপস্থিত ছিলেন।