স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আনোয়ার হোসেন
ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোক্ষপুর ইউনিয়নে সানকীভাঙ্গা এলাকায় রাস্তায় কাঁটা তার ও টিন দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা।
স্বাধীনতার পর থেকে পায়ে চলাচলের রাস্তা
সানকীভাঙ্গা এলাকার আকন্দ বাড়ীর মোড় (সানকীভাঙ্গা-কান্দানিয়া সড়ক) থেকে খানবাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বহুদিন যাবত জনস্বার্থে রাস্তাটি সংস্কার তথা যান চলাচলের সুবিধার্থে প্রশস্ত করার নিমিত্তে এলাকাবাসী দাবি করে আসছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দফায় দফায় স্থানীয় বিভিন্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ময়েজউদ্দিনের বাড়ির মোড় থেকে খানবাড়ীর আকন্দবাড়ীর মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি সরকারের ত্রান ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২১-২২ অর্থ বছরে হেরিং বন্ড (এইচবিবি) এর প্রস্তাবনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের দ্বারা নাম্বার প্রাপ্ত, যার নাম্বার-৩৬১৯৪৫১৫৮ এবং রাস্তার উন্নয়নের জন্য ত্রিশাল উপজেলা এলজিইডি থেকে ২,৫০,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তা সংস্কারের পক্ষে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু লোকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসীর সহায়তায় এই রাস্তা চলাচলে করা থেকে বিরত থাকার জন্য এলাকাবাসীদের হুমকী প্রদান করে আসছে। অসুস্থ রোগী এবং মৃত ব্যক্তির লাশ আনা-নেওয়ার জন্য এম্বুলেন্স গাড়ি, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গাড়ি প্রবেশে আসামীগণের প্রতিবন্ধকতা জন্য মারাত্নক অসুবিধার সৃষ্টি হইতেছে। উক্ত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য মাটি ফেলানো কাজ করা অবস্থায় ঠিকাদারকে খারাপ গালিগালাজ করে মাটি ফেলানোসহ সংস্কার কাজে বাধা দিলে এলাকাবাসী বেআইনী অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করে। অসাধু লোকজন উক্ত রাস্তাটির চলাচল ব্যহত করার অসৎ উদ্দেশ্যে রাস্তায় কাটা তার ও টিন দ্বারা বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়াসহ রাস্তার মাটি চুরি করে নিয়ে গিয়ে যায়। যাহার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ গর্ভানমেন্ট এন্ড লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস এন্ড বিল্ডিং (রিকভারি অব পজিশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৭০ এর )/৩৪ ধারার অপরাধ করার শামিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটি চলাচল বন্ধ করেছে ত্রিশালের মোক্ষপুর ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা এলাকার মৃত আফতাব উদ্দিন ছেলে মোঃ মেজবাহুল আলম ও মুফাখারুল ইসলাম, মৃত বরকত আলীর
ছেলে মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ও এছাহাক আলী, মৃত মনির উদ্দিন আকন্দের ছেলে
জহুর উদ্দিন আকন্দ, মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে আশ্রাব আলী, জহুর উদ্দিন আকন্দের ছেলে মোঃ পলাশ আকন্দ, মৃত মাহবুবল আলমের ছেলে মোঃ শরীফুল ইসলাম, মোঃ বাবুল আকন্দ, আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, এছাহাক আলীর ছেলে আবুল কালাম, মোনতাছের বিল্লাহ ।
এসংক্রান্তে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুয়েল আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি কোন তথ্য প্রদান করে নাই।