মো সাব্বির হোসেন বিপ্লব হিলি প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলিতে একসপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচ ও সবধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। এছাড়া বেড়েছে করলা, বেগুন, পটল, আলু, পেঁয়াজের দামও। একসপ্তাহ আগে (২৩ জুন) প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর আজ (৩০ জুন) প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে বেড়েছে অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
রোববার (৩০ জুন) দুপুর হিলিবাজারে সবজি কিনতে এসেছেন মো. রাসেল মিয়া। তিনি বলেন, ‘গত রোববার প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১২০ টাকা দরে কিনেছি। আর আজ কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ৮০ টাকা বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম।’
আরেক ক্রেতা মো. জমিল হোসেন বলেন, ‘কাঁচাবাজারের কিছু বুঝি না। একই পণ্যের দাম সপ্তাহে যে কতবার ওঠানামা করে, সেটা বিক্রেতারা ভালো জানেন। গেলো রোববার বেগুনের কেজি ছিল ৪০ টাকা । আজ প্রতিকেজি বেগুন কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। একইভাবে ৬০ টাকা কেজি দরের করলা ৮০ টাকা, ২০ টাকা কেজি দরের ঢেঁড়শ ৪০ টাকা এবং ১০ টাকা আঁটির পুইশাক ২০ টাকা আঁটি দরে কিনতে হচ্ছে।’
জামিল হোসেন আরও বলেন, ‘আলুর দাম তো কমছেই না। সেই যে ৬০ টাকা কেজিতে উঠেছে, আর নামার কোনো খবর নেই। ক্রেতারাও বাধ্য হয়ে কিনছেন।’
সবজি বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন ঢালেন, ‘আমরা খুচরা বিক্রেতা। পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করি। যখন যে দাম যায়। তার চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। আগে ১১০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ কিনে ১২০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর এখন কিনতেই পড়ছে ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা। বিক্রি করছি ২০০ টাকা। করলা ৫০ টাকা কেজি কিনে ৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর এখন ৭০ টাকা কেজি কিনে ৮০ টাকায় দরে বিক্রি করছি। এভাবে সবধরনের সবজির দাম কিনতে বেশি পড়ছে। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘কখনো রোদ আবার কখনো বৃষ্টির কারণে সবজরি উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহও কমেছে। কৃষকেরা যে অল্প পরিমাণ সবজি বাজারে আনছেন, তা-ই আমাদের বেশি দাম কিনতে হচ্ছে।’