নিজস্ব প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাশিমপুরে ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আওয়ামী নেতা ও কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদ ধারি কথিত সাংবাদিক মাজারুল ইসলাম প্রতিকের বিরুদ্ধে নারিকেলেঙ্কারি এর অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী আব্দুল হালিম সবুজ।
মামলার বাদী আব্দুল হালিম সবুজ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার দেউলি খামার এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে আব্দুল হালিম সবুজের সঙ্গে তহুর আলীর মেয়ে মোছাঃ মুক্তা বেগম তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়। আব্দুল হালিম সবুজ ও তার স্ত্রী মোছাঃ মুক্তা বেগম ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা শ্রীপুর রাইসমিল এলাকায় বসবাস করতেন।
আব্দুল হালিম সবুজ আরো বলেন আমি মুক্তা বেগম এর সহিত গত ১৪ বছর যাবত সংসার করিয়া আসিতেছি। তিনি বলেন আমার সংসারে ইতিমধ্যে ২ টি মেয়ে সন্তান আছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে যার ঘরে আমার একটি নাতি আছে। তিনি আরো বলেন , আমি আমার স্ত্রী লইয়া যে বাসায় বসবাস করি উক্ত বাসাতে মোঃ জিন্নাহ আলী আমার প্রতিবেশী হিসেবে বসবাস করত। মোঃ জিন্নাহ আলীর নিকট মোঃ প্রতীক মাঝেমধ্যেই যাওয়া-আসা করিত। যাহার সুবাধে মোঃ প্রতীক এর সহিত আমার স্ত্রীর একটি সখ্যতা গড়ে ওঠে। যা প্রায় দুই বছর যাবত হইয়া আসিতেছিল। কিন্তু আমি কখনোই বুঝতে পারি নাই।
গত ০২/০৮/২০২৪ ইং তারিখে কোনো এক প্রয়োজনে আমি আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোন চেক করিলে বিবাদী প্রতীক এবং আমার স্ত্রীর আপত্তিকর কিছু ছবি দেখিতে পাই। আমি এ ব্যাপারে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিলে আমার স্ত্রী কোনোকিছুই বলে না এবং বলে যে, কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। আমি তাকে ভালো হয়ে যেতে বলি এবং প্রতীকের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে বলি। কিন্তু গত ০৬/০৮/২০২৪ ইং তারিখে আমি বাসায় অনুপস্থিত থাকাকালীন আমার স্ত্রী অফিসের নাম করিয়া বাসা হইতে আমার মেয়ের স্বর্ণাঅলংকার যার বর্তমান বাজারদর ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকার জিনিস লইয়া যায়।
পরবর্তীতে আমি বাসায় আসিয়া তাকে না পাইয়া ফোন করিলে তার নম্বর বন্ধ পাই। এরপর থেকে তার সহিত আমি আর কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে পারি নাই।
পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরেই পালিয়ে গেছে বলে গৃহবধূর স্বামী আব্দুল হালিম সবুজ ও তার পরিবার ধারণা করেন।
তার ঠিক ২/৩ দিন পর আমার স্ত্রী আমার মেয়েকে ফোন করিয়া বলে যে, সে যার সাথে আছে যেখানে আছে ভালো আছে তার কোনো প্রকার খোজ যেন আমি না করি। আমার মেয়ে আমাকে এ কথা জানালে আমি মোঃ প্রতীকের নম্বরে ফোন করিয়া আমার স্ত্রীর খোজ করিলে তিনি অস্বীকার করেন এবং এক পর্যায়ে আমাকে জঘন্য ভাষায় গালমন্দ করেন।
এবং সাংবাদিকতার ক্ষমতার দাপটে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। তখন কোন উপায় না পেয়ে আমার জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হাজির হইয়া বিবাদী মোঃ প্রতীক (৫০), পিতাঃ অজ্ঞাত, কাশিমপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, ঠিকানাঃ সাং-সুলতান মার্কেট, কাশিমপুর, গাজীপুর, মোবাঃ ০১৯৮৯-১৬৪৬১৯, এর বিরূদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে বলে জানান