মোঃ জামাল আহমেদ নিজস্ব প্রতিনিধি
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও এর কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীবৃন্দের ব্যানারে এ মানববন্ধনে অংশ নেয় ছাত্র-জনতা সহ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ সময় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মাহাবুব জোবায়ের সোহাগ বলেন,
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে কিছু মানুষ অপপ্রচার করছে যে গণসংস্থান কেন্দ্র কোন সেবা দেয়নি। এটা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য কালিমা।
এটা হতেই পারে না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতেই ছিল।আমাদের এই সেবা চলমান রয়েছে আমরা প্রায় ২৫০ জন ২৫০ জন মানুষ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের সেবা প্রদান করেছি। আমাদের সেবায়,এবং আমাদের টাকায় চিকিৎসা হয়েছে। আমাদের আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়েছে।এটা আমাদের বলা ঠিক না,তারপরও আমরা অনুমান করে বলছি। অন্য প্রতিষ্ঠান হলে শূন্য একটি যোগ করে এক কোটি টাকা হিসাব দেখাত।আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে ছিলাম আছি থাকবো । যারা আজকে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের প্রতি একটাই কথা বলতে চাই।অপপ্রচার সব সময় অপপ্রচার,মিথ্যা সব সময় মিথ্যা, যতদিন প্রমাণিত না হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রহমান শাহজাহান বলেন,
এখানে আমাদের সমবেত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে যে আমরা কোটাবিরোধী যে আন্দোলনরত যে সমস্ত রোগী ও ছাত্রছাত্রী সহ যারা এসেছেন যে অবস্থায় এসেছে,তাদের চিকিৎসার ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। এখন একটি কুচুক্রি মহল বলতে চাচ্ছে যে এখানে কোন চিকিৎসা হয় নাই, চিকিৎসায় বাধা প্রদান করেছি, আমরা বলতে চাচ্ছি এখানে রোগী সহ আরো অনেক উপস্থিত আছেন।তাদের লিস্ট আছে, প্রত্যেক রোগীর ফলোআপ আছে, তারা কি অবস্থায় আছে কয়জন মারা গেছে, কয়জন রেফার করা হয়েছে,সব লিস্ট আছে।
কোটা বিরোধী আন্দলনরত যারা এখানে এসেছেন,সবাইকে সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদান করেছি এবং এই চিকিৎসা চলোমান রয়েছে। ফ্রি চিকিৎসায় কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয় নাই।
এ সময় বৈষম্য আন্দোলনের এক শিক্ষার্বথী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যকালে বলেন আমরা সব সময় এই হাসপাতালে খোঁজ-খবর নিয়েছি শিক্ষার্থীদেরকে ফ্রী, চিকিৎসা দিয়েছে এখনো চলমান আছে।