নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার ০৭-১২-২০২৩ কাশিমপুর থানা হতে আদালতে পাঠানো হয়।
গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগীর মা পারুল বেগম তার স্বামী শরীফ মোল্লার বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানায় মামলা করেন। এরপর রাতেই ভুক্তভোগীর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত নরপশু পিতা শরিফ মোল্লা চাঁদপুর সদরের বাখরপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি কাশিমপুরে ৫নং ওয়ার্ডের সুরাবাড়ি এলাকায় মোহনের বাসায় ২ কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
অভাবে তাড়নায় স্ত্রী বাড়ীর পাশে গার্মেন্টসে কাজ করতেন। বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তার মিম (১৭) নানির বাড়িতে লেখাপড়া করে এবং ছোট মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মুন্নি (১৩) মা-বাবার সাথে থেকেই মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত।
স্ত্রী চাকরি করার কারণে ফাঁকা বাড়িতে হত্যা ও মারধর এর ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই ছোট মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মুন্নি (১৩) কে ধর্ষণ করতো নরপশু পিতা শরিফ মোল্লা।
বড় বোন ফাতেমা আক্তার মিম নানির বাড়ি থেকে বেড়াতে আসলে ভুক্তভোগী ছোট বোন সুমাইয়া আক্তার মুন্নিও নিজেদের বাসায় না থেকে বড় বোনের সাথে নানী বাড়িতে চলে যেতে চায়।
পিতা মাতার সাথে বাসায় থাকার সমস্যা জানতে চাইলে
ভুক্তভোগী তার বোনকে সমস্ত ঘটনা জানায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে মা পারুল বেগম পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। পরে এ ঘটনায় শিশুটির মা নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে মামলা করেন।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাফিউল করিম রাফি জানান, এ ঘটনায় ওই শিশুর মা থানায় অভিযোগ করলে মামলা রুজু করা হয় এবং বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত বাবাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।